নারায়ণগঞ্জ: স্ত্রী করোনামুক্ত হলেও দ্বিতীয়বারের করোনা টেস্টেও রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের। শুরু থেকে নানা সামাজিক কার্যক্রম ও করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফন কাফনে এগিয়ে আসায় দেশে-বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তবে তার রিপোর্টে পজিটিভ আসলেও উপসর্গ না থাকায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি আগামী ৭ দিন বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেবেন।
শুক্রবার (০৫ জুন) বিকেলে স্বামী-স্ত্রী দুজনের করোনার টেস্ট রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এতে স্ত্রী নেগেটিভ ও স্বামীর পজিটিভ আসে।
তবে তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা করোনার পাশাপাশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তার ফুসফুসের ৫০ ভাগ অক্সিজেন না পাওয়ায় তিনি আরও কিছুদিন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবেন।
বিকেলে বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান কাউন্সিলর খোরশেদ।
খোরশেদ বলেন, আমি ভালো আছি আমার কোনো উপসর্গ নেই। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে বাড়িতে থেকে ৭ দিন আইসোলেট হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে বলেছে। আমি বাড়ি ফিরে এসেছি, আইসোলেশনে রয়েছি। ৭ দিন পর টেস্ট করাবো আবার। সবাই দোয়া করবেন যেন দ্রুত আবার আপনাদের সেবায় ফিরতে পারি।
আক্রান্তদের সেবা করতে গিয়ে ৩০ মে নিজেও করোনায় আক্রান্ত হন খোরশেদ। এর আগে গত ২৩ মে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। তবে আক্রান্ত হলেও তার কার্যক্রম থেমে নেই। তার টিম মেম্বারদের মাধ্যমে দাফন কাফনসহ সকল কার্যক্রম তিনি অব্যাহত রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২০
এইচএডি/
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।