পাবনায় করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষিত কমিউনিটি হাসপাতালকে স্থগিত করে আবারও পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
ধারণা করা হচ্ছে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে পালিয়েছেন তিনি।
হাসপাতাল থেকে তার বাসায় লোক পাঠিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে চিকিৎসাপ্রত্যাশী সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পাবনা কোভিড ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা সালেহ মুহাম্মদ আলী জানান, মঙ্গলবার (৯ জুন) রাতে কোভিট-১৯ ওয়ার্ডের ডা. সরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি মঙ্গলবার রাত থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছে। এমনকি মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে আসেননি।
এ বিষয়ে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল নিরঞ্জন বসাককে জানানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত তিনি দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নেননি।
পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল নিরঞ্জন বসাক বলেন, পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমাকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে আমি ডা. সরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বাসায় লোক পাঠানো হয়েছে। সল্প সময়ের মধ্যে তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনা সিভিল সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪জন। জেলায় করোনায় পজিটিভ পাওয়া গেছে ১৬১ জন। মোট পরীক্ষা হয়েছে ২২২২ জনের।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
এএটি