এরই মধ্যে একটি বেসরকারি হাসপাতাল প্লাজমা থেরাপি দেওয়া শুরু করেছে। আর বুধবার (১৭ জুন) থেকে আরেকটি হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া শুরু হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) সিলেটের বেসরকারি হাসপাতালে নর্থ-ইস্ট মেডিক্যাল কলেজে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া শুরু হয়েছে। বুধবার (১৭ জুন) থেকে সিলেটের করোনার বিশেষায়িত চিকিৎসালয় শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালে এক রোগীর দেহে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হবে।
শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. জন্মজয় দত্ত বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার ৫৫ বছরের এক রোগীর দেহে প্লাজমা থেরাপি দিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এদিকে, নর্থ-ইস্ট হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাহরিয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালটিতে গত শনিবার প্রথম করোনা আক্রান্ত এক রোগীর দেহে প্লজামা থেরাপি দিয়েছি। মঙ্গলবার হাসপাতালে আমরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্লাজমা দেওয়া শুরু করেছি।
নর্থ-ইস্ট মেডিক্যাল কলেজের নেফ্রোললি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মেহেদি হাসান করোনায় আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তার প্লাজমা তার বাবার দেহে দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীরে এক ধরনের অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার তৈরি হয়। ফলে তাদের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে তা থেকে প্রক্রিয়াজাত করে হলুদ রক্তরস তথা প্লাজমা আক্রান্ত রোগীকে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির জন্য দেওয়া হয়। যাতে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
এনইউ/এএ