রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ফার্মেসি ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কোম্পানি দাম না বাড়ালেও দোকানিরা দাম বাড়ানোয় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে।
রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ১০ পিস সিভিট-এর দাম ১৯ টাকা হলেও কোনো কোনো দোকানি ২৫ টাকা রাখছেন। আর এক পিসের দাম রাখছেন তিন টাকা, অনেক দোকানি আবার আগের কেনা দামেই বিক্রি করছেন।
প্রতি ১০ পিস ওরাভিটের দাম ১০ টাকা হলেও তা এখন রাখা হচ্ছে ১৫ টাকা, আয়ুর্বেদিক সুরিনের দাম ১০ টাকার পরিবর্তে ১২ থেকে ১৫ টাকা রাখা হচ্ছে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের নাপা ও এইচ-এর দাম ৮ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা বা ১২ টাকা পাতা রাখা হচ্ছে, এক্সটেনশনের দাম ১৫ টাকার পরিবর্তে রাখা হচ্ছে ২০ টাকা। তবে সর্দি-কাশির ফেনাডিন, ফেক্সো ফেনাডিন বা মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ওষুধের দাম রাখা হচ্ছে আগের মতো।
পাড়া-মহল্লার ফার্মেসিতে দাম বেশি রাখা হলেও বড় (ব্র্যান্ড) ফার্মেসিতে আগের দামেই ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ওষুধের বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতার মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
আলী আদনান নামে পরীবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বাংলানিউজকে বলেন, কোম্পানিগুলো ওষুধের দাম বাড়ায়নি অথচ দোকানে বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর কারণে ভিটামিন সি’র চাহিদা মহল্লায় বেড়েছে। আর এর সুযোগ ব্যবহার করে মহল্লার দোকানগুলো দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে শাহজাহানপুর সততা ফার্মেসির বিক্রেতা জাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, ভিটামিন সি-জাতীয় ওষুধের চাহিদা এখন বেশি, সে অনুপাতে সরবরাহ কম। অনেকেই মিটফোর্ড থেকে এগুলো নিয়ে এসে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবে আমাদের মতো বড় দোকানে আগের দামেই বিক্রি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২০
ইএআর/এএ