ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ জুন ২০২৫, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঈদে মানুষের চলাচল রুখতে না পারলে সংক্রমণ বাড়বে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫৭, জুন ২৬, ২০২০
ঈদে মানুষের চলাচল রুখতে না পারলে সংক্রমণ বাড়বে

ঢাকা: দেশে করোনা সংক্রমণ পিকের (সর্বোচ্চ সংক্রমণ) কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে। কোরবানি ঈদের সময় যদি মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তবে সংক্রমণ আরও বাড়বে।সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ (আইইডিসিআর) স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে গত ২৩ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার (২৬ জুন) ‘বাংলাদেশে করোনা: ছয় মাসের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনায় এ তথ্য জানানো হয়।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত একজন রোগী ১ দশমিক ৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

একজন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী মহামারির মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে গড়ে কত জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঘটাচ্ছেন, সেই ধারণা পাওয়া যায় যে সংখ্যার মাধ্যমে, সেটিকে ইংরেজি অক্ষর 'আর' এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে 'আর' এর গড় মান ২ থেকে ২ দশমিক ৫, অর্থাৎ প্রত্যেক কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে দুইজনের বেশি মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাচ্ছেন। তবে বিভিন্ন দেশ এবং ভৌগলিক অঞ্চলভেদে এ 'আর'-এর মান পরিবর্তিত হয়ে থাকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের শুধু স্বাস্থ্য বিভাগ নয়, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ কাজ করছে। করোনার মতো এ দুর্যোগ মোকাবিলায় শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বই প্রস্তুত ছিলো না। প্রতিদিনই নতুন নতুন বিষয় সামনে আসছে। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস নির্মূলে চীন আবিষ্কৃত সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে হতে পারে। এ ট্রায়েলের সূত্র ধরে বাংলাদেশেও এর উৎপাদন শুরু হতে পারে। এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য করোনা মোকাবিলায় আরেক ধাপ সাফল্য বয়ে আনবে।

বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এর অধিনস্থ অধিদপ্তরগুলোতে নেতৃত্ব ও সমন্বয়ের ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন। সেইসঙ্গে মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারের পরিকল্পনার ঘাটতি, দক্ষ জনবল ও অবকাঠামোর অভাব, দেশি বিশেষজ্ঞদের ঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারাসহ বিভিন্ন দুর্বলতার কথা তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে এখনও জনগণের সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাসও কম বলে উল্লেখ করেন তারা।

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এ আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোসতাক হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
পিএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।