এ নিয়ে শুক্রবার (২৬ জুন) দুপুর ২টার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ৫ রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশালের উজিরপুর উপজেলার রত্নপুর এলাকার ইউনুস হাওলাদার (৫০) মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে রাত সোয়া ৯টার দিকে বরিশাল নগরের রুপাতলী এলাকার ফরিদা বেগম (৪৫) মৃত্যুবরণ করেন। তিনি শুক্রবার (২৬ জুন) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন।
এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহপড়ান সড়কের নূর মিয়ার ছেলে খাইরুল বাশার (৪৫) মৃত্যুবরণ করেন। এরআগে ২৩ জুন সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন।
অপরদিকে ২৩ জুন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে বরগুনার বামনা উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার আ. রশিদ (৮০) করোনার উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন। যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৬ জুন) বিকেল ৬টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল নগরের ভাটিখানা এলাকার নিবাসী শাহনেওয়াজ (৬৩) মৃত্যুবরণ করেন। এরআগে দুপুর একটায় তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন।
মৃত ব্যক্তিদের শরীর থেকে নমুন সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।
করোনার বর্তমান পরিস্থিতে শেবাচিম হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৮৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৩৬ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন।
এদিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, গেলো ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল জেলায় নতুন করে ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। যা নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৭৮ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২৫৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ২০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
এমএস/এএ