জানা গেছে, পৃথক দু’টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের তিন অ্যাম্বুলেন্সচালক পলাতক রয়েছেন।
আত্মগোপনে থাকা তিন চালক হলেন- পিরোজপুর হাসপাতালের মোতালেব শেখ ও তার ছেলে সুমন শেখ এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কবির হোসেন।
পৃথক মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জুন জেলা সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকার খানাকুনারিয়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষক এনায়েত হোসেন মোল্লাকে (৬০) কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন জেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক মোতালেব ও তার ছেলে সুমন। পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) মারা যান এনায়েত।
এছাড়া গত ২৪ জুন পিরোজপুর টাউন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র তুষার শেখ (১৪) ঘুরতে গিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে তার পা ভেঙে যায়। স্বজনরা তাকে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সে সময় অ্যাম্বুলেন্সচালক কবির তাকে স্থানীয় একটি ভুয়া ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নেন। ওই ক্লিনিকে স্কুলছাত্র তুষারের পায়ে অপারেশন করেন পিরোজপুর হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট ও নৈশপ্রহরীসহ স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারের দুই ছেলে ভুয়া চিকিৎসক আলী হাসান লিয়ন ও তার ছোট ভাই আলী ইমাম। এতে ওই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ২৫ জুন নিহত তুষারের বাবা সোহাগ শেখ বাদী হয়ে অ্যাম্বুলেন্সচালক কবিরসহ পাঁচজনের নামোল্লেখ ও দুই-তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পিরোজপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের মিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তার বোন ফিরোজাকে নিয়ে বুধবার বিকেলে খুলনা যেতে চাইলে অ্যাম্বুলেন্স সংকটে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে নিতে হয়েছে।
পিরোজপুর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. হাসানাত ইউসুফ জাকী বাংলানিউজকে জানান, হত্যা মামলায় আত্মগোপনে রয়েছেন জেলা হাসপাতালের দু’জন অ্যাম্বুলেন্সচালক মোতালেব ও তার ছেলে সুমন। বিষয়টি বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। এছাড়া শিগগিরই জরুরি সেবায় অ্যাস্বুলেন্স চালক সংকট সমস্যার সমাধান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এসআরএস