বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে হাসপাতাল আসেন তিনি। পরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, কোভিড-১৯ রোগীরা কেমন আছেন, শুরু থেকে কতজন ছিলেন, রোগীদের জন্য চিকিৎসক-নার্স-প্যাথলজিস্ট কতজন আছেন-এসব তথ্যগুলো সরেজমিনে দেখতে এসেছি।
সচিব বলেন, কতজন ডাক্তার কোভিড-১৯ ইউনিটে রোগীদের দেখভাল করছেন। মেডিক্যাল অফিসার থেকে শুরু করে অধ্যাপক পর্যন্ত প্রত্যেকের পরিসংখ্যান আমি নিয়েছি। কোভিড-১৯ রোগী ভর্তি হওয়ার পর তাদের অবস্থা কী হয়, এটা জানার খুব দরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে বিশ কোটি টাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা এমন না। আপনারা বলতে পারছে না যে অনিয়ম। এটা বড় কিছু না। এটা আমরা দেখছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটা নির্দেশনা দিয়েছে। এই পেমেন্ট দেওয়ার আগে খতিয়ে দেখবে। আমরা একটা প্রতিবেদন চেয়েছি পরিচালকের কাছে। লিখিত রিপোর্ট চেয়েছি। সবমিলিয়ে একটা প্রতিবেদন তিনি দেবেন। দেওয়ার পরই আমরা দেখবো, কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা।
কোভিড-১৯ পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা কি খুব বেশি! ২০০ টাকা মিনিমাম একটা বিষয়। অনেকেই একটু কাশি দিলেই হাসপাতালে আসে পরীক্ষা করতে। এটা যেন না হয়।
অনেক ডাক্তার হোটেলের করিডোরে থাকছে এই জবাবে তিনি বলেন, এটা ভিত্তিহীন কথা। এটার কোন সুযোগ নাই। ডাক্তারদের সঙ্গে সরকার আছে। তাদের থাকা খাওয়াসহ কোন বিষয় যেন সমস্যা না হয়, সেগুলো আমরা দেখছি। করিডোরে থাকার প্রশ্ন আসে না। যদি কোন চিকিৎসককে হোটেলে না রাখতে পারি। তাহলে যে ডরমিটরিগুলো আছে বিকল্প হিসেবে সেগুলো ব্যবহার করতে বলছি। তাতে সরকারের কিছু সাশ্রয় হবে।
তিনি আরও বলেন, কোন জায়গাতেই শতভাগ কিছু করা যাচ্ছে না। তবু আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবুও আমরা যার যার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব ন্যুনতম কাজ করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা না নিতে হয়। আমরা এই দেশকে ভালবাসি। মানুষকে ভালবাসি। যারা কথা বলছে, সমালোচনা করছে। তারা কিন্তু কাজ করতে আসবে না। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সাপোর্ট দেওয়ার দরকার আমরা দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এজেডএস/জেআইএম