হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিমানবন্দর থানাধীন এলাকার বিমল (৬০) শেবাচিম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে তিনি ১৩ জুন সকালে হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন।
এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গাজিপুর এলাকার জিতেনন্দ্রনার্থ বিশ্বাস (৭০) করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
অপরদিকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় পটুয়াখালী সদরের টাউন কালিকাপুর এলাকার সালেহা বেগম (৫৫) শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন। এছাড়া বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ (৫০) শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে বিকেল ১ জুলাই বিকেল ৪টায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন। যাদের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি, তাদের শরীর থেকে নমুন সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন। এ পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ও আইসোলশন ওয়ার্ডে মোট ১০৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পজিটিভ ৩৭ জন।
এদিকে বৃহস্পতিবার নতুন শনাক্ত হওয়া ২৪ জনসহ বরিশাল জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সর্বশেষ ৪৪ জনসহ ৪২৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন এবং ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
এমএস/এএটি