বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুদক কর্তৃক স্বাস্থ্য খাতের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানের এমএসআর, ভারী মেশিনারিজ ও অনান্য সামগ্রী ক্রয়ে প্রায়শই দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো দুদকের চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ এবং হাঁসপাতাল, প্রতিষ্ঠানের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অসাধু ঠিকাদারের যোগসাজশে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাজার মূল্যের থেকে বেশি মূল্যে এমএসআর, ভারী মেশিনারিজ এবং অনান্য সামগ্রী কেনা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে মালামাল সরাবরাহ না করেও বিল পরিশোধের ঘটনাও ঘটে। অসাধু ঠিকাদাররা সিন্ডিকেট করে এই ধরনের টেন্ডারে অংশ নেয়। এই অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে বাজার মূল্যের কয়েকগুণ বেশি মূল্যে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে হয়। ফলে সরকারি টাকার ক্ষতিসাধন এবং আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।
কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড রুপা ফ্যাশন, মেসার্স অনিক ট্রেডার্স, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন অ্যান্ড এসকে ট্রেডার্স, এমএইচ ফার্মা, মেসার্স অভি ড্রাগস, মেসার্স আলবিরা ফার্মেসি, এস এম ট্রেডার্স, রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি, ইউনিভার্সেল ট্রেড কর্পোরেশন, এ এস এল কোম্পানি এবং ব্লেয়ার এভিয়েশন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রদত্ত নির্দেশনার প্রেক্ষিতে উল্লেখিত কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং প্র্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীর সাথে কোন প্রকার দাপ্তরিক ক্রয় সংক্রান্ত কাজে সম্পৃক্ত না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২০
আরকেআর/এমজেএফ