ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে করোনা ৫৯০ বার জিন পরিবর্তন করেছে: বিসিএসআইআর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
দেশে করোনা ৫৯০ বার জিন পরিবর্তন করেছে: বিসিএসআইআর প্রেস ব্রিফিং/ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস ৫৯০ বার জিন পরিবর্তন করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)।

রোববার (১৯ জুলাই) পরিষদ কর্তৃক গৃহীত কোভিড-১৯ ভাইরাসের ৩০০ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং প্রকল্প সম্পর্কে অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সকাল ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর সাইন্স ল্যাবের বিসিএসআইআর কার্যালয়ে।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ১৭১টি কেসের সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে।   ভাইরাসটি প্রোটিন লেভেলে ২৭৩ বার মিউটেশন করেছে এবং ৩৮টি স্পাইক পরিবর্তন করেছে।

এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠনাটি ২২২টি জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।

বাংলাদেশে সংক্রমণের প্রধান কারণ ডি৬১৪জি করোনা ভাইরাস বলেও শনাক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ভাইরাসটি মানুষের শরীরের উপকারি ব্যাকটেরিয়া নিষ্ক্রিয় করে দেয়।

বিসিএসআইআরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ৬৭ হাজার ৫২৪ এর বেশি করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স ডাটা বিশ্বজুড়ে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটা (গ্যাসএইড)-তে প্রকাশ করেছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ১৭৩টি করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য তথ্য পাঠানো হয়েছে। এগুলো থেকে বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের করোনা ভাইরাসটি ইতালির ভাইরাসটির সঙ্গে বেশি নিবিড়।

পরিষদের জিনোমিক রিচার্স ল্যাবরেটরি ইনচার্জ ও গৃহীত প্রকল্পের পরিচালক মো. সেলিম খান বলেন, বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে ইতোমধ্যে তার জিনেমিক লেভেলে ৫৯০টি ও প্রোটিন লেভেলে ২৭৩টির অধিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। অর্থাৎ সবগুলো জিন পরিবর্তন হলেও সবগুলো প্রোটিন পরিবর্তন হয়নি, যা ফুসফুসে একটি ভূমিকা রাখছে। ফলে সেকেন্ডারি লেভেলে সংক্রমণটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে, নতুন নতুন অস্বাভাবিক সব জিন আমাদের সামনে আসছে, যা গবেষণার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তার করছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৩০০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর এই কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে তা করোনার বিপক্ষে অ্যান্টিবডি ও ওষুধ প্রস্তুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক একেএম শামসুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।