ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ রোগীদের দুই ঘণ্টার মধ্যে ৩৫ টাকা দামের একটি করে মরফিন ইনজেকশন দিতে পারলে মৃত্যু অনেক কম হতো বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জে গিয়েছিলাম। একটা জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ৩৫ টাকা দামের একটি মরফিন ইনজেকশন থাকে না। যদি তাদের দুই ঘণ্টার মধ্যে একটি করে মরফিন ইনজেকশন দেওয়া যেত, তাহলে অর্ধেক লোকের মৃত্যু হতো না।
‘পৃথিবীর কোথাও সেন্ট্রালাইজড বার্ন ইউনিট করা হয় না। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে বার্ন ইউনিট থাকা দরকার। দু’জন ডাক্তারের পাঁচদিনের ট্রেনিং হলেই বার্ন ইউনিট চালু করা সম্ভব। তিনটি ওষুধ থাকলেই হয়। একটি অক্সিজেন টেন্ট দরকার, মরফিন ইনজেকশন, মরফিন ট্যাবলেট আর মলম থাকলেই জেলা সদর হাসপাতালে বার্ন ইউনিট করা সম্ভব। ’
পোড়া রোগীর চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পোড়া রোগীকে প্রথমেই ভালো করে পোড়া স্থান পানি দিয়ে ভেজাতে হয়। হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গে তাকে একটি মরফিন ইনজেকশন দিতে হয়। তারপর রোগীর পরিস্থিতি দেখে পোড়া যদি ৫০ শতাংশের কম হয় তাকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হবে। ৫০ শতাংশের বেশি হলে তাকে ঢাকায় আনতে হবে। এখন যেকোনো রোগীর ১০ শতাংশের বেশি পোড়া হলেই ঢাকায় আনতে হয়। এসব বিষয় আর কতভাবে, কাকে বলবো, কাউকে বোঝাতে পারি না।
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি আরও বলেন, তাদের কাছে মনে হয়, এটার কোনো প্রয়োজনই নেই। তারা করতে চায় আইসিইউ, যেখানে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য হবে ।
গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৭ দগ্ধ হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭ জন মারা গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০
আরকেআর/এএ