ঢাকা: ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যই হোক, কিংবা জাতিগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই হোক আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যু হার কম। তবে সংক্রমণের হারে আমরা খুব বেশি সন্তোষজনক অবস্থানে নেই।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা বলেন বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী।
তিনি বলেন, আমাদের টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। টেস্ট বাড়ালে এবং এন্টিবডি টেস্ট করলে সত্যিকারে আক্রান্তের হার জানা যাবে।
এলাকাভিত্তিক সচেতনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাপকহারে টেস্ট করা হলে যেসব এলাকায় সংক্রমণের সংখ্যা বেশি পাওয়া যাবে, সেখানে এই অঞ্চলের স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। আমাদের ব্যর্থতা করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারিনি। স্থানীয় জনগণ যেমন, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মী, সমাজকর্মী, ডাক্তার, এনজিওকর্মী সবার সমন্বয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিলে ভালো ফল পাওয়া যেত। স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিতে হলে সেখানে টেস্ট বাড়াতে হবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানী আরও বলেন, বর্তমানে আমরা করোনা ভাইরাস কমিয়ে আনা থেকে দূরে সরে গেছি। এটা হয়তো কেন্দ্রীয় পলিসি যে, আমরা ভ্যাকসিন আসা পর্যন্ত এভাবেই হার্ড ইমিউনিটির দিকে যাবো। এটাই যদি পলিসি হয়ে থাকে, তাহলে সেটা ডিক্লিয়ার দিয়ে বলা উচিত। আপাতত দৃষ্টিতে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হলেও, স্বাস্থ্যেরই অনেক সেক্টর বন্ধ হয়ে আছে। সিনিয়র ডাক্তাররা চিকিৎসা দিতে আসছেন না। ফলে অনেকেই সঠিক ও সময়মতো চিকিৎসাও পাচ্ছে না।
‘করোনা ভাইরাসকে দমাতে হলে কোন পলিসিতে, কী উপায়ে করা হবে সে বিষয়ে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে কমিটির মাধ্যমে সেটা করা দরকার। এছাড়া এখন যেভাবে এই সেমি কন্টেইন করা হচ্ছে, সেটা দিয়ে হবে না। আমাদের কপাল ভালো যে, ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যই হোক, কিংবা জাতিগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই হোক দেশে করোনায় মৃত্যুহার কম।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
আরকেআর/এএ