ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১০ জুন ২০২৫, ১৩ জিলহজ ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সোহরাওয়ার্দীর চিকিৎসকদের বিক্ষোভ, মন্ত্রীর আশ্বাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৪২, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
সোহরাওয়ার্দীর চিকিৎসকদের বিক্ষোভ, মন্ত্রীর আশ্বাস

ঢাকা: রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসকরা ‘নিরাপদ আবাসন’ নিশ্চিত করার দাবিতে হাসপাতাল পরিচালক কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই দাবিতে দুপুরের দিকে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার কক্ষ ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন চিকিৎসকরা।

রাতে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, কোভিড ইউনিটে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসকদের একটি আবাসিক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী সরকার চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টিন সুবিধা বাতিল করেছে। তাদের আবাসনের ব্যবস্থা নিজেদের করে নিতে বলা হয়েছে। এই কারণে হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমার কক্ষের সামনে এসে কিছুটা হইচই করেছে এবং তাদের দাবি আমাকে জানিয়েছে।

তাদের দাবিগুলো আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে অবগত করেছি। ডিজি মহোদয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলেছেন এবং মন্ত্রী মহোদয় ওনাকে আশ্বস্ত করেছেন এর একটি সুরাহা করে দেবেন।

তিনি আরও জানান, আমাদের হাসপাতালে কোভিড ইউনিটে প্রতিদিন তিন শিফটে কম করে হলেও ৫০ জন চিকিৎসক ডিউটি করে। মোট ডাক্তারের সংখ্যা আরো বেশি। এছাড়া আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ জনের মতো নার্স ও ওয়ার্ড বয় ৩০ জনের মতো ডিউটি করে থাকে। ঢাকা কলেজের পাশে নার্সদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।

নতুন করোনা ভাইরাস অত্যন্ত ছোঁয়াচে বলে রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। কাজ শেষে বাড়ি ফিরলে তাদের মাধ্যমে পরিবারেও এ ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।

সে কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী, হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিতদের একটি নির্দিষ্ট সময় কাজ করার পর নির্দিষ্ট সময় কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা।

সে কারণে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে রাজধানীর ছয়টি সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য ১৯টি হোটেল নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জুন থেকে হোটেলে থাকা শুরু করে।

তবে করোনায় দায়িত্ব পালনকালে ঢাকায় দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসকরা দৈনিক দুই হাজার টাকা, নার্সরা ১ হাজার ২০০ টাকা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ৮০০ টাকা করে ভাতা পাবেন বলে জানানো হয় ওই পরিপত্রে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
এজেডএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।