ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও রেলস্টেশনে ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার       

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২০
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও রেলস্টেশনে ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার        বেনাপোল ইমিগ্রেশন

বেনাপোল (যশোর): দেশের সর্ব বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও রেলওয়ে স্টেশন ইমিগ্রেশনে করোনা সংক্রমণ রোধে পাসপোর্টধারী যাত্রী প্রবেশ দ্বারে দুটি ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। এ থার্মাল স্ক্যানারটি যাত্রীর শরীরের তাপামাত্রার পাশাপাশি শরীরে ধাতব জাতীয় দ্রব্য থাকলে সেটিও শনাক্ত করবে।

মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে নতুন এই ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানারে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে থার্মাল স্ক্যানারটি কার্যক্রম চালু হলেও রেলপথে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকায় সেটি এখনো কার্যক্রম চালু হয়নি।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনে অত্যাধুনিক একটি ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এটি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের শরীরের তাপামাত্রার পাশাপাশি যাত্রীদের শরীরে ধাতব জাতীয় দ্রব্য থাকলে সেটিও শনাক্ত করতে সক্ষম বলে জানান তিনি।  
এছাড়া যাত্রীরা যাতে নিয়ম অনুসরণ করে যাতায়াত করে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের তারা সব ধরনের সহযোগিতা করছেন।

বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনের মতো রেলস্টেশন ইমিগ্রেশনেও একটি ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। তবে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের থার্মাল স্ক্যানারটির কার্যক্রম শুরু হলেও রেলপথে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকায় আপাতত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রেলপথে যাত্রী যাতায়াত সচল হলে স্ক্যানারটির কার্যক্রম শুরু হবে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. ইউছুফ আলী জানান, শীত মৌসুমে দেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য করোনা সংক্রমণ রোধে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও রেলওয়ে ইমিগ্রেশনে দুটি ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার বসানো  হয়েছে। ইমিগ্রেশন ভবনের আগের থার্মাল স্ক্যানারের চেয়ে এ স্ক্যানারটি অনেক আধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন। এ থার্মাল স্ক্যানারটি যাত্রীর শরীরের তাপামাত্রার পাশাপাশি যাত্রীদের শরীরে ধাতব জাতীয় দ্রব্য থাকলেও সেটিও শনাক্ত করতে পারবে।

আগে স্বাভাবিক সময়ে এ পথে প্রতিদিন বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রায় ৮-১০ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করতো। তবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের মধ্যে মেডিক্যাল ও বিজনেস ভিসায় প্রতিদিন ১৫শ থেকে দুই হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।