ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দুর্ঘটনার আশঙ্কা, তবু জরাজীর্ণ ভবনেই চিকিৎসাসেবা

সাগর ফরাজী, সাভার করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
দুর্ঘটনার আশঙ্কা, তবু জরাজীর্ণ ভবনেই চিকিৎসাসেবা ক্লিনিকের জরাজীর্ণ ভবন। ছবি: বাংলানিউজ

সাভার (ঢাকা): গত চার-পাঁচ বছর ধরে সাভারের আশুলিয়ায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।

যেকোনো মুহূর্তে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।  

ভবনটি ভেঙে পুনরায় নতুন ভবন তৈরির জন্য দুই বছর আগে একটি আবেদন করেছিলেন বাইদগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান কর্মকর্তা লতা চক্রবর্তী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময়ই নতুন ভবনের কাজের নির্দেশনা এলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সাভারে মোট ৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে ১৬টির অবস্থা জরাজীর্ণ। ক্লিনিকগুলো প্রতিষ্ঠার পর বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হলেও বর্তমানে তিনটির অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাইদগাঁও, রুস্তমপুর ও দোসাইদ ক্লিনিকগুলো সংস্কার নয়, নতুন ভবনই বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে আশুলিয়ার বাইদগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে, কমিউনিটি ক্লিনিকের চরম বেহাল দশা। দেয়াল ফেটে গেছে। ফ্লোর দেবে গেছে। ছাদ ধসে পড়ছে। কার্ণিশ বরাবর চারদিক ফাটল ধরেছে। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। যেকোনো সময় পুরো ভবনটি বিধ্বস্তের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখানে এখন প্রসূতিরা আসতে ভয় পায়। ফলে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।

ক্লিনিকটিতে চিকিৎসা ও ওষুধ নিতে আসা রুপালি নামে এক নারী বাংলানিউজকে বলেন, ওষুধ নিতে আইসা বিল্ডিং দেইখা ভয় পাইছি। বিল্ডিংটার কোনায় কোনায় ফাটল। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। বিল্ডিংটা ঠিক করা খুব জরুরি। এখন আমাদের গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক একটিই, এখানে না এসেও উপায় নেই।

প্রায় ১০ হাজার মানুষের চিকিৎসাসেবার জন্য এই ক্লিনিকটি করা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত এই ভবনটি পুনঃনির্মাণ করা হোক।

বাইদগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা লতা চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, এর আগে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের সংস্কার হয়ে গেছে। বর্তমানে পিনিকের ভবনটির খারাপ অবস্থা এ কারণে দুই বছর আগে আমি ভবনটি পুনঃনির্মাণের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে একটি আবেদন জানিয়েছি। সারা দেশে চারটি ক্লিনিকের কাজের পাস হয়েছে এর মধ্যে আমার ক্লিনিকের কাজের পাসও চলে আসছে দুই বছর আগেই।  কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয়নি।

সাভার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। সরকার থেকে বাইদগাঁও ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলে নতুন ভবনের কর্যক্রম শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যেনো ভবনগুলো তাড়াতাড়ি নির্মাণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।