ঢাকা: ভ্যাকসিন নিলেই যে করোনা সঙ্গে সঙ্গে দূর হয়ে যাবে, বিষয়টি এমনটা নয়। ভ্যাকসিন দিতেও বছরখানেক লেগে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা ইপিআই স্টোরে মজুদ রাখা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এখানে একটি টেম্পারেচার কক্ষ/গোডাউন রয়েছে। এই গোডাউনটি আমরা সরেজমিনে দেখলাম। সেখানে খুবই সুন্দরভাবে ভ্যাকসিনগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ভ্যাকসিন সরবরাহ ও বিতরণের বিষয়ে ন্যাশনাল একটি প্ল্যান হয়েছে। প্ল্যান অনুযায়ী ভ্যাকসিনগুলো দেওয়া হবে।
‘প্রথমে ভ্যাকসিনগুলো কোথায় কোথায় যাবে, সেগুলোর সব প্ল্যান করা আছে। আমরা একটি ট্রায়াল রানের (পরীক্ষামূলক) ব্যবস্থা করছি, তবে সেটির তারিখ এখনও নির্ধারণ হয়নি। খুব শিগগিরই একটি তারিখ আমরা পেয়ে যাবো। সে অনুযায়ী ট্রায়াল রানে যাবো। এরপর সারাদেশে ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে। ’
তিনি বলেন, ট্রায়াল রানে আমরা সব ক্যাটগরির ব্যক্তি রাখবো। সেখানে চিকিৎসক, নার্স, অন্য স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, আর্মি, সাংবাদিক ও শিক্ষকরা থাকবেন। সেখাসে বয়স্ক লোকরাও থাকবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আরও ৫০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন আসার কথা রয়েছে। আশাকরি আগামী সপ্তাহে সেটি দেশে চলে আসবে। সেগুলো এলে মোট ৭০ লাখ ডোজ আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেবো। এগুলো সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন গোডাউন তৈরি করা হয়েছে।
‘আমাদের লোকজনও ইতোমধ্যে বিদেশে চলে গেছে। তাদের প্রশিক্ষণও প্রায় শেষের পথে। আমরা এখন মোটামুটি প্রস্তুত। ’
সাধারণ মানুষের মনে আস্থা আনতে অন্য দেশের প্রধানরা শুরুতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের প্রধানরা কি শুরুতে নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাই ভ্যাকসিনটি যাদের বেশি প্রয়োজন আগে তাদের দিতে। আমাদের দেশের মানুষ কিন্তু কোনো ভ্যাকসিনকে ভয় পায় না। তারা বিভিন্ন ভ্যাকসিন নিয়ে অভ্যস্ত। প্রতিবছর কোটিরও অধিক ছেলেমেয়ে ভ্যাকসিন নেয়। এরজন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভ্যাকসিন নতুন কিছু নয়। কাজেই এই ভ্যাকসিন আমরা পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
এসজেএ/এএ