ঢাকা: রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। খাদ্য উৎপাদন-বাজারজাতকরণ, মাছ, মাংস সব ক্ষেত্রে রাসায়নিকের ব্যবহার বেড়েছে লাগামহীনভাবে।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় 'সার্চিং ওয়ে ফরোয়ার্ড ফর দ্য টাইম অব প্যান্ডামিক: ফুড অ্যান্ড নিউট্রশন সিকিউরিটি ইন পোস্ট প্যান্ডামিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে একথা বলেন বক্তারা। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্ট্যাডিজ ছিল এর আয়োজক।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজের সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. এম আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, কৃষি এবং কৃষক দু’টিকেই আমাদের সমান গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা যে দামে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য কিনছি, তার বড় একটি অংশ কৃষক যদি না পান, তাহলে তার অবস্থায় পরিবর্তন হবে না।
আলোচনায় অংশ নেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা, বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশিদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি।
মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ক্যানসার রোগী বাড়ার কারণ আমাদের খাদ্যে রাসায়নিকের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। খাদ্য উৎপাদন-বাজারজাতকরণ, মাছ, মাংস সব ক্ষেত্রে রাসায়নিকের ব্যবহার বেড়েছে লাগামহীনভাবে। ফলে নিরাপদ খাদ্যের বিরাট সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের সবার যে সুষম এবং সঠিক খাবার দরকার সেটা রাষ্ট্রীয়ভাবে চিত্রায়িত করতে পারছি না।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই কৃষকের সংজ্ঞা পরিবর্তন হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষক এখনও সেই জীর্ণ-শীর্ণই রয়ে গেছে। কৃষক হয়তো আগে দু’বেলা খেত, এখন তিনবেলা খায়। আগে কৃষকের একটা কাপড় ছিল, এখন হয়তো দুটো কাপড় হয়েছে। কৃষকের এর বাইরে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে কৃষির উৎপাদন বেড়েছে। উৎপাদন শুধু পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে, মানে বাড়ানো হয়নি। আগামী ২০ বছরের মধ্যে ৫০ লাখ রোগীর ডায়ালাইসিস করা লাগবে, ডায়াবেটিস রোগী ৩৩ শতাংশ হয়ে যাবে। কিডনি রোগ, অন্ধত্ব, এসবতো খাবার থেকেই হচ্ছে। আমরা অস্বাস্থ্যকর উপায়ে প্রচুর মাছ এবং পোল্ট্রি মাংস, পোলিশ চাল উৎপাদন করছি। এসব উৎপাদনের কারণে আমাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা হচ্ছে।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্ট্যাডিজের নির্বাহী পরিচালক মো. জিল্লুর রাহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
আরকেআর/এএ