ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে বের করে দিলেন চিকিৎসক!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে বের করে দিলেন চিকিৎসক!

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় চিকিৎসাপত্র না দিয়ে অশোভন আচরণ করে হাসপাতাল থেকে রোগীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডা. মিনতিয়াজ কবিরের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই চিকিৎসকের বিচার দাবি করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন রোগীর পরিবার।

 

অভিযোগে জানা যায়, হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক কাজি আলতাব হোসেন বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে তার অসুস্থ শাশুড়ি সামিনা বেগমকে নিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। নিয়ম অনুযায়ী টিকেট সংগ্রহ করে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালটির মেডিক্যাল অফিসার ডা. মিনতিয়াজ কবিরের রুমে যান সাংবাদিক কাজি আলতাব হোসেন। ওই চিকিৎসক সাংবাদিক কাজি আলতাব হোসেনকে দেখে রেগে গিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। রোগীর অবস্থা ভাল না বলে চিকিৎসা দিতে চিকিৎসককে অনুরোধ করেন কাজি আলতাব হোসেন। কিন্তু এতেও মন গলেনি চিকিৎসকের।  

চিকিৎসা না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসক ডা. মিনতিয়াজ কবির সাংবাদিককে বলেন, সাংবাদিকের কোনো চিকিৎসা হবে না। এ সময় সাংবাদিক কাজি আলতাব হোসেন ও তার রোগীর উপর উত্তেজিত হন চিকিৎসক। চিকিৎসকের উচ্চ চিৎকারে পাশের রোগীরা ওই রুমের সামনে ভিড় জমায় এবং রোগীর চিকিৎসা দিতে চিকিৎসককে অনুরোধ করেন। এক পর্যয়ে সাংবাদিকতা পেশাকে হেয় করে গালমন্দ করে রোগীর চিকিৎসা না দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যান চিকিৎসক ডা. মিনতিয়াজ কবির। এসময় অন্য রোগীদেরও ওই চিকিৎসক চিকিৎসা দেননি বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনার বিচার ও চিকিৎসা না দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে সাংবাদিক কাজি আলতাব হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  

অভিযোগকারী সাংবাদিক কাজি আলতাব হোসেন বলেন, কোনো সাংবাদিক বা তার পরিবারের কারো চিকিৎসা দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন ডা. মিনতিয়াজ কবির। এর কারণ জানতে চাইলে আমাদের দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এসময় সাযবাদিকতা পেশাকে হেয় করে গালমন্দ করে গোটা সাংবাদিক সমাজ ও তাদের পরিবারকে হেয় করা হয়েছে। এর সুষ্ঠ বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন তিনি।  

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈম আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, একটু হট্টগোল হয়েছিল যা তাৎক্ষণিক সমোঝোতা করা হয়েছে। যেহেতু অভিযোগ এসেছে সেজন্য তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।