ঢাকা: বিশ্ব এইডস দিবস আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর)। এইডস রোগ ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো এবং যারা এই রোগে ভুগে মারা গেছেন তাদের প্রতি শোক জানাতে দিনটি পালন করা হয়।
এইচআইভি এইডস একটি ভয়ঙ্কর মারণ ব্যাধি। সারা পৃথিবীতে লাখ লাখ মানুষ প্রতি বছর এতে প্রাণ হারান। দীর্ঘ সময় ধরে আলাদা কোনও শারীরিক সমস্যা ছাড়াই এই মারণ রোগ শরীরে জাঁকিয়ে বসে। ধীরে ধীরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। তারপর শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধলে শরীর আর তা সইতে পারে না।
অসুরক্ষিত যৌনজীবন, ওরাল সেক্স, আক্রান্তের রক্ত শরীরে যাওয়া, বাবা-মায়ের শরীর থেকে নবজাতকের শরীরে রক্ত বয়ে আসা, ইত্যাদি নানা কারণে এইডস হতে পারে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এই রোগের লক্ষণগুলো:
নারীদের ক্ষেত্রে নজর রাখতে হবে মেন্সট্রুয়াল সাইকেলের দিকে। স্বাভাবিকের তুলনায় যদি রক্তক্ষরণ কম হতে থাকে বেশ কিছুদিন ধরে, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে আপনাকে।
এক সপ্তাহ ধরে কিংবা কয়েক মাস ধরে যদি পেটের সমস্যায় ভুগতে থাকেন, তাহলে সাবধান হবে এখনই।
দীর্ঘদিন ধরে জ্বরের সঙ্গে যদি হাত-পায়ে ও কোমরে ব্যথা থাকে, তাহলেও এইডসের লক্ষণ হতে পারে।
চোখ, নাক, মুখ, পিঠ, গলায় যদি লাল, গোলাপি, কালো রঙের র্যাশ বেরোতে শুরু করে, তাহলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, অবহেলা করবেন না।
দীর্ঘদিন যদি জ্বরের সঙ্গে যদি গলা ফুলতে শুরু করে, অর্থাৎ গ্ল্যান্ড ফুলে যায়, তাহলে এইডসের লক্ষণ হতে পারে।
দিনের পর দিন যদি ওজন কমতে শুরু করে, তাহলে সাবধানে থাকুন।
চার সপ্তাহের বেশি যদি জ্বর থাকে, তাহলে অবহেলা করবেন না। এছাড়া প্রতিদিনই যদি ঘুসঘুসে জ্বর থাকে দিনের বেলায়, আর রাতে ঘাম হয়, তাহলে সাবধান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এইডসের চিকিৎসা:
এইডসের চিকিৎসা: এই রোগ পুরোপুরি সারে না। তবে, এই রোগে সংক্রমিত হওয়ার থেকে বাঁচতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এই রোগের চিকিৎসা হলো আন্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (আর্ট) এবং এইচআইভি ওষুধ। তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
এই রোগের সংক্রমিত হওয়া থেকে বাঁচতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন- যৌন মিলনের সময় সুরক্ষা নেওয়া, অন্যের ব্যবহার করা সুচ বা ব্লেড ব্যবহার করবেন না। এর পাশাপাশি শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
এএটি