ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম।
জানা গেছে, ১১-১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬-১১ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। উপজেলার সকল ইপিআই কেন্দ্রে এই ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এবার ৫২ হাজার ৭০২ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৭ হাজার ১০২টি শিশুকে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪৫ হাজার ৬০০টি শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
প্রধান অতিথি ইউএনও মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টি শক্তির জন্য ভিটামিন-এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী ভিটামিন-এ এর অভাব পূরণের জন্য সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
ক্যাম্পেইন সভায় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান বলেন, ভিটামিন-এ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভিটামিন-এ এর অভাবে রাত কানা এবং অন্ধত্বসহ চোখের অন্যান্য রোগ শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা এবং শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল সিকদার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবু সাইদ, এমটি ইপিআই আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
এসআরএস