ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, করোনার মহামারীর শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বকে সম্ভাব্য সব সহায়তা দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছে। একই সংস্কৃতি বহনকারী ভারত ও বাংলাদেশকে সবসময় বিশ্ব এক পরিবার হিসেবে দেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা জানি সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়। রোববার ( ১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আমি আনন্দিত। এটি কোভিডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইকে সমর্থন করার জন্য ভারত সরকারের দেওয়া দুটি মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের একটি। এই অক্সিজেন প্লান্ট মহামারীর পরেও কাজে আসবে।
তিনি বলেন, আপনাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং ঐতিহাসিক বন্ধু হিসেবে জনস্বাস্থ্য এবং জনগণের কল্যাণে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে আরও উন্নত করার জন্য ভারত নিজ সামর্থ্যের মধ্যে যা করতে পারে তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অনন্য বন্ধুত্বের জন্য ভারতের দৃঢ় এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি গত দুই বছরে কোভিড সহযোগিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। ভারত পিপিই, চিকিৎসা সরঞ্জাম, টেস্টিং কিট, ভ্যাকসিন সরবরাহ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার কর্মশালার মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে। একই ভাবে বাংলাদেশও আমাদের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় ওষুধ এবং অন্যান্য দরকারী জিনিসপত্র পাঠানোর জন্য উদারতা দেখিয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এটা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে ৯৬ টিরও বেশি দেশে ভারত ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে। ২১.৮ মিলিয়ন ( ২ কোটি ১৮ লাখ) ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে ১৫ মিলিয়ন বাণিজ্যিক সরবরাহ, ৩.৩ মিলিয়ন অনুদান এবং ৩.৫ মিলিয়ন কোভ্যাক্সের আওতায় সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের খুব কম দেশেই আমাদের মতো ঘনিষ্ঠ ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের অংশীদারিত্ব এখন এই অঞ্চলে প্রতিবেশী সম্পর্কের জন্য একটি রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন বলেছেন, ‘সংযোগই উৎপাদনশীলতা’। সংযোগ প্রসারিত করার জন্য যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা ২০টি অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন পাঠাতে পেরেছি, যাতে ৪ হাজার মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে।
আমি নিশ্চিত নতুন এই মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের ফলে ২৩০০ শয্যা বিশিষ্ট ঢামেক হাসপাতালের সক্ষমতা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশী ভাই-বোনদের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১
টিআর/এমএমজেড