সিলেট: সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরের চারটি স্কুলে এই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা প্রদান করা হচ্ছে। চারটি স্কুলে প্রতিদিন ৬০০ করে ২ হাজার ৪০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। মহানগরে ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
টিকাদানে জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে জটিলতা থাকার কারণে স্কুলের রেজিস্ট্রার অনুসারে শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এদিন সকাল থেকে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়। এছাড়া ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবং পুলিশ লাইনস হাইস্কুলে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় ২৫ হাজার স্কুলশিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এসব প্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে টিকা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তা ছাড়া জন্মনিবন্ধন সনদের বাধ্যবাধকতাও এখন তুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা ফরম পূরণ করে দিচ্ছেন টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
সরকারি পাইলট স্কুলের নবম শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব ও শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘টিকা নিতে ভয় লাগেনি, এটাতো সুরক্ষার জন্য দেওয়া হচ্ছে। ’
সিলেট বিভাগীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, বিভাগে সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীর তালিকা পাঠানো হয়েছে। যাদের জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিটে নেই। তারাও বিশেষ বিবেচনায় টিকা নিতে পারবেন। তবে টিকার সনদ পেতে গেলে ১৭ ডিজিটের পরবর্তীতে নিববন্ধন হবে। পরবর্তীতে আপডেট করতে হবে।
এর আগে বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিকে সাড়ে ৬ লাখ শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ১২০ স্কুল শিক্ষার্থীর মধ্যে ফাইজারের টিকা দেওয় হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ১৭ অক্টোবর মাধ্যমিকের স্কুল শিক্ষার্থীদের তথ্য চায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১২-১৭ বছরের মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ লাখের তথ্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে সিলেট জেলা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার স্কুল শিক্ষার্থীর তথ্য পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
এনইউ/জেএইচটি