নড়াইল: দ্বিতীয় দফায় নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল আবারও ঝটিকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে নার্সিং সুপারভাইজারের রুমের সামনে নাজিয়া নামে এক নারী ও তার ছেলে এমপি মাশরাফির কাছে বিচার চেয়ে বলেন, ভাত চাওয়ায় আমাকে শিশু ওয়ার্ডের আয়া পারভীন মেরেছে। তিনি এমপির কাছে এর বিচার দাবি করেন। এমপি মাশরাফি ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এর আগে দীর্ঘদিন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে স্থানীয় এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের দেখতে পাননি। হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র দেখে ক্ষুব্ধ হন এবং তত্ত্বাবধায়ককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি হাসপাতাল পরিদর্শন এসে রোগীদের খাদ্যে অনিয়ম, ওষুধ না দেওয়া, চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সময়মত হাজির না হওয়া ও ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান। হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের না দেখে রোগীদের ওয়ার্ডে যান তিনি। এ সময় রোগীরা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন এমপি মাশরাফির কাছে।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ-উজ-জামান মুন্সী বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার সকাল ৯টার পরে আসায় ৮ জন চিকিৎসক ও ২ জন মেডিক্যাল প্যাথলজিষ্টকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডে গত শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ১৭ জনের জায়গায় ৩ জনকে খাবার দেওয়ায় ডায়েটের দায়িত্বে থাকা এক কর্মচারীকে শোকজ এবং এতে জড়িত আউটসোর্সিংয়ের এক কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে দূর-দূরান্ত থেকে গরিব লোকজন আসেন। তাদের খাবার দেওয়া হয় না। আবার চিকিৎসকরাও ঠিক মত অফিস করেন না। রোগীরা খাবার-ওষুধ পায় না- এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
এমএমজেড