ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ধুলো এড়াতে মাস্ক

ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১২
ধুলো এড়াতে মাস্ক

ঢাকা: বসন্তকালে কিছুটা শুষ্কভাব বিরাজ করে। পরির্বতন হচ্ছে আবহাওয়ারও।

শীতকালীন আয়ন বায়ুর পাশাপাশি এসময় কিছুটা প্রত্যয়ন বায়ুও দেখা যায়। ফলে বাতাসে সৃষ্টি হয় ঘুর্ণি।

এসময় রাস্তায় বের হলেই ধুলোবালির কবলে পড়তে হয় নগরবাসীকে। রাজপথ থেকে শুরু করে পাড়া, মহল্লার অলিগলিতে যেন ধুলোবালিরই রাজত্ব।

শীতের শেষে এ ঋতু হওয়ায় তেমন কুয়াশা এবং বৃষ্টি না থাকায় ধুলোবালি বাতাসে উড়ে বেড়ায়। এগুলোর মধ্যে ১০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে বড় কণা মাটিতে পড়ে যায়। কিন্তু এর চেয়ে ছোট কণা বাতাসে ভাসতে থাকে এবং শ্বাস টানার সময় ফুসফুসে প্রবেশ করে।

২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার থেকে ১০ মাইক্রোমিটার আকারের ক্ষুদ্র কণা থাকে বাতাসে ছড়িয়ে যাওয়া ধুলায়। নিঃশ্বাসের সঙ্গে এগুলো প্রবেশ করে শ্বাসনালি ও ফুসফুসে। ফলে শ্বাসনালি ও ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।

ধুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় সর্দি, কাশি ও চোখে অ্যালার্জি। সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে শুরুতে গলাব্যথা, গলায় খুশখুশে ভাব, নাক শির শির করা, নাক-কান বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে পানি ঝরা, হাঁচি, হালকা জ্বর, শুকনো কাশি প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদী হিসেব করলে ফুসফুসের ক্যান্সারও হতে পারে এর জন্য।

২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট কণা থাকে গ্যাসে বা ধোঁয়ায় ভাসমান অবস্থায়। এগুলো ফুসফুসের একেবারে গভীরে চলে যেতে পারে শ্বাসের সময়। ধোঁয়ার গ্যাসে আরও থাকে ক্ষতিকর কার্বন-মনোক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস-অক্সাইড ইত্যাদি। এসব গ্যাসের জন্য ফুসফুসের প্রদাহ, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তবে বাতাসে ভাসমান ধুলার এসব ক্ষতিকর পদার্থ থেকে নিজেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক পাওয়া যায়। তবে এর মধ্যে কাপড়ের মাস্কই সবচেয়ে ভালো। এক পার্টের মাস্কের চেয়ে দুই পার্টের মাস্ক বেশি ভালো। ওইসব মাস্ক অতি ক্ষুদ্র কণা প্রবেশ রোধ করতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি মোটা না হয়। কারণ বেশি মোটার মাস্ক শ্বাস নেওয়া বা ছাড়ায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

মাস্কটা মুখে ভালোভাবে পরতে হবে যেন মাস্ক ও নাক-মুখের ফাঁক দিয়ে ধুলাবালি ঢুকতে না পারে। মাস্ক রাখা চাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। কাপড়ের মাস্ক নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।

এছাড়া মাস্কের বাইরের দিকটা প্রতিবার ব্যবহারের সময় যেন বাইরের দিকেই থাকে, সে খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই। না হলে শ্বাস টানার সময় মাস্কের বাইরের দিকে লেগে থাকা ক্ষুদ্র কণা শ্বাসনালিতে ঢুকে যাবে। তবে একজনের মাস্ক আরেকজন ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৩৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।