ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

২৫০ শয্যা হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৪ জন!

জুলফিকার আলী কানন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
২৫০ শয্যা হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৪ জন!

মেহেরপুর: ৫০ শয্যার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যা হয়েছে অনেক আগেই। শয্যার সংখ্যা বাড়লেও সুবিধা বাড়েনি হাসপাতালের অন্য সমস্যার।

পরিচ্ছন্নতার অভাবে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ বিপাকে ফেলেছে রোগী, স্বজন ও দর্শনার্থীদের। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখনো চারজন কর্মী দিয়েই চলছে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার কাজ। হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে ময়লার স্তূপ জমে গেছে। হাসপাতালের প্রবেশ পথ দিয়ে ভিতরে ঢুকেই চারদিকে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। সিঁড়ি দিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় গিয়েও দেখা যায় একই অবস্থা। ওয়ার্ডগুলো দায়সারাভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে। ওয়ার্ডের ভিতর থেকেই প্রতিটি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখা যায় জানালার পাশে পলিথিন, ভাত, তরকারি, পরিত্যক্ত খাবার ও ব্যবহৃত সিরিঞ্জসহ বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনার স্তূপ জমে আছে। এসব ময়লা রোগী, রোগীর স্বজন ও নার্সরা অবাধে বাইরে ফেলছে। কিছু ময়লা জানালায় জমে রয়েছে। আবার বেশিরভাগ ময়লা নিচে পড়ে ময়লার ভাগাড় তৈরি হয়েছে। এসব ময়লা আবর্জনা দীর্ঘদিন থেকে জমে থাকলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কোনো উদ্যোগ নিতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ।

রোগী ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু রোগী ও রোগীর স্বজনরাই নন, হাসপাতালটির কর্মচারী, নার্স ও ডাক্তাররা ময়লা আবর্জনার গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন বাওট গ্রামের জাব্বার, রশিকপুর গ্রামের সুন্নত আলী ও দারিয়াপুর গ্রামের নুরজাহান বেগম জানান, সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনার গন্ধ অসহ্য লাগছে।

নারী ওয়ার্ডের রোগী রিনা বেগম ও হাসিনা আক্তার জানালেন, নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে থাকে। দুর্গন্ধের কারণে এখানকার সাধারণ মানুষসহ চিকিৎসাসেবা নিতে আসা অসুস্থ রোগীদের প্রতিনিয়তই দুর্বিষহ করে তুলেছে।

২৫০ শয্যার মেহেরপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, হাসপাতালটিতে নানাভাবে সুযোগ সুবিধা বেড়েছে। অথচ এখানে পরিচ্ছন্ন কর্মীর বড়ই অভাব। ৫০ শয্যার হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর নিয়োগ ছিল ৪ জন। সেই আমল থেকেই এই ৪ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পদই রয়েছে। তবে সেখানে পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছে মাত্র ৩ জন। এখানে সরকারি পরিচ্ছন্নতা কর্মী ২ জন ও আউটসোর্সিং থেকে আনা ২ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আছে। এই ২৫০ বেডের হাসপাতালে কমপক্ষে ৩০-৩৫ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।