ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

আগরতলায় বাতাসের গুণগত মান ভালো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
আগরতলায় বাতাসের গুণগত মান ভালো ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব বিশ্ব কর্মকার

আগরতলা (ত্রিপুরা): শীত এলে বাতাসে আবহাওয়াজনিত কারণে কিছু কিছু জায়গায় দূষণের মাত্রা কিছুটা বাড়ে। তবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে দূষণের মাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।

এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। হালকা ঠাণ্ডা পড়তেই ইতোমধ্যে ইনডেক্স ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। এ দূষণ দেখে আগরতলার অনেকেই উদ্বিগ্ন। তবে আগরতলা শহরের বাতাস নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই বলে শনিবার (২৮ অক্টোবর) বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব বিশ্ব কর্মকার।  

তিনি বলেন, বাতাসের গুণগত মান বিশেষ করে দূষণের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য রাজ্যে বেশ কিছু বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হয়। এগুলোর কিছু হলো- পার্টিকোলেট মেটা ১০, ২.৫, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার অক্সাইড ইত্যাদি। এসব বিষয়কে একসঙ্গে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বলা হয়। ইনডেক্স ৫০ এর মধ্যে থাকলে ওই এলাকার বাতাসের গুণগত মানকে ভালো বলা হয়। ইনডেক্স ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে একে বলা হয় সন্তোষজনক। ১০০ থেকে ২০১ হলে একে বলা হয় মাঝারি। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ইনডেক্স হলে পুওর। এভাবে সিভিয়ার পর্যন্ত ইনডেক্স রয়েছে। এদিক বিচার করলে রাজ্যের রাজধানী আগরতলার বাতাসের অবস্থা অনেক ভালো।

বিশ্ব কর্মকার বলেন, গত এক সপ্তাহের আগরতলার বাতাসের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ২০ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু হয়। সেদিন সন্তোষজনক ছিল। ২১ অক্টোবর একটু বেড়েছে। ২২ ও ২৩ অক্টোবর মাঝারি ছিল। তবে এটা উদ্বেগের কোনো বিষয় নয়। রাজ্যে সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে শহরে লোকসমাগম ও যানবাহন চলাচল অনেক বেশি পরিমাণে হয়েছে। কিন্তু এর পর ২৪ অক্টোবর থেকে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হতে থাকে। সেদিন বাতাসে দূষণের মাত্রা ছিল ৮২। এর পরদিন ২৫ অক্টোবর ৭০ এ নেমে আসে। এর পরদিন আরও কমে ৬৬ শতাংশে নেমে আসে। প্রতিনিয়ত কমে আসার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, আগরতলার বাতাসে দূষণের মাত্রা সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। সারা বছরই গড়ে বাতাসের দূষণের মাত্রা সন্তোষজনক অবস্থায় থাকে বলেও জানান তিনি।  

বিশ্ব কর্মকার বলেন, কিছু কিছু সময় বিশেষ করে উৎসবের দিনগুলোতে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ সামান্য বেড়ে যায়। কারণ তখন শহরে লোকসমাগম অনেক বেশি হয়। সেইসঙ্গে শহরে স্মার্ট সিটি প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পে নানা নির্মাণকাজ চলছে। তার কারণেও মাঝে মধ্যে ধূলিকণার উপস্থিতি বেড়ে যায়। তবে বাতাসে নাইট্রোজেন অক্সাইড ও সালফার অক্সাইডের মতো রাসায়নিকের উপস্থিতি খুব সামান্য পরিমাণে থাকে।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত শহরের বাতাসের দূষণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এগুলো শহরের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় ডিসপ্লে বোর্ডে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। মোবাইল অ্যাপ ও ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স পোর্টালের মাধ্যমেও সাধারণ জনগণ যেকোনো জায়গা থেকে ত্রিপুরাসহ সারাদেশের দূষণের মাত্রা দেখতে পারেন। এর পাশাপাশি লক্ষ্মীপূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে বাতাসের দূষণের মাত্রা বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারণ এ সময় শহর ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি পোড়ানো হয়ে থাকে। দীপাবলির সময় টানা ১৪ দিন বাতাসের গুণগত মান বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ পরিমাপগুলো পাওয়ার পর আগের বছরগুলোর সঙ্গে তুলনা করে বিশ্লেষণ করা হয় বাতাসে দূষণের মাত্রা অন্য বছরের তুলনায় বেড়েছে, না কমেছে।

বিশ্ব কর্মকার বলেন, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যাতে জল দূষণের মাত্রা না বাড়ে তার জন্য প্রতিবছর পূজার আগে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো হয়। এ বছরও তাই করা হয়েছিল। দুর্গামূর্তি বিসর্জনের আগে, বিসর্জনের সময় ও বিসর্জনের পর হাওড়া, গোমতীসহ রাজ্যের পাঁচটি নদীর জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ বছরও এ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে আগের বছরগুলোর তুলনায় দূষণ বেড়েছে, না কমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
এসসিএন/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।