আগরতলা(ত্রিপুরা): ‘মুখ্যমন্ত্রী চা-শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্প’-এর মাধ্যমে ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের চা শ্রমিকদের কল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৭,২৩০টি চা শ্রমিক পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক মানিক সাহা এই প্রকল্পের সার্বিক রূপায়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। চা শ্রমিকদের উন্নয়নে এই প্রকল্পে যেসব সুবিধা প্রদানের বিষয় গুলো রয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন।
রাজ্যে মোট ৫৪টি চা বাগান রয়েছে। ২১টি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা এবং ২,৫০০-এর বেশি ক্ষুদ্র চা-পাতা উৎপাদনকারী রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিবছর প্রায় ৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয় রাজ্যে, যা ভারতের ১৬টি চা উৎপাদনকারী রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রেখেছে।
যত সংখ্যক কর্মী রাজ্যের চা বাগানগুলোতে কাজ করেন, তার ৭৫ শতাংশই মহিলা। এই সব চা বাগান কর্মীদের পরিশ্রমের ফলেই রাজ্য চা শিল্পে সারাদেশের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকায় এগিয়ে আসছে। কিন্তু এই চা শ্রমিকদের মধ্যে যারা বহিরাজ্য থেকে এসেছিলেন তাদের জীবনধারণের প্রাথমিক যে ন্যূনতম শর্ত, তা থেকে তারা অনেকক্ষেত্রেই বঞ্চিত ছিলেন। এই কারণে চা শ্রমিকদের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য রাজ্য সরকার ২০২২ সালে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ‘মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প চালু করা করে। গত ২০২২ সালে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
নিয়মিত স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন ছাড়াও চা-বাগান শ্রমিক পরিবারদেরকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সম্পর্কীত বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদানের জন্য গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হল চা বাগান শ্রমিকদের আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং চা বাগান শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন স্কিমের সঠিক রূপায়ণ করা। এই প্রকল্পে যে সমস্ত কর্মসূচি রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ব্যক্তিগত মালিকানায় ভূমিহীন পরিবারগুলোকে থাকার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করা, নিজের ভিত্তিতে পরিত্যক্ত চা-বাগানগুলির জায়গা সমবায় ভিত্তিতে চা বাগান শ্রমিকদের জন্য বরাদ্ধ করা, ন্যূনতম সুবিধা যেমন আবাসন, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশান, নিরাপদ, পানীয়জল, বিদ্যুৎ এবং সকল ঋতুর উপযোগী রাস্তার সুবিধা দেওয়া, চা- শ্রমিকদের পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার জন্য নানাবিধ সহায়তা প্রদান ইত্যাদি। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রেস রিলিজের হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা,নভেম্বর ০৪, ২০২৩।
এসসিএন/এমএম