ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ১১তম বাংলাদেশ বইমেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
কলকাতায় ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ১১তম বাংলাদেশ বইমেলা

কলকাতা: বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম গত বছর মেলার শেষদিনে ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রতি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের সোমবার থেকে কলকাতায় শুরু হবে বাংলাদেশ বইমেলা। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, এবারে কলকাতায় ১১তম বাংলাদেশ বইমেলা শুরু হচ্ছে আগামী ৪ ডিসেম্বর।

চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি সম্মিলিত উদ্যোগে গত দশ বছর ধরে কলকাতায়, বাংলাদেশ বইমেলা হয়ে আসছে।

সোমবার(২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের বাণিজ্য শাখার সচিব, শামসুল আরিফ জানিয়েছেন, বিগত বছরের মত, এ বছরও বাংলাদেশের প্রথিতযশা ও উদীয়মান কবি, সাহিত্যিক লেখকদের সৃষ্টি, বইয়ের মোড়কে পুস্তকের সম্ভার কলকাতার হাজির করবেন বাংলাদেশি প্রকাশকরা। এবং গতবারের মতো ১১তম বাংলাদেশ বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে কলকাতার বইপাড়া নামে খ্যাত কলেজ স্ট্রিটের, কলেজ স্কোয়ারে।

শুধুমাত্র বাংলাদেশেরে বইয়ের পসরা নিয়ে ২০১১ সালে কলকাতায় প্রথম শুরু হয় বাংলাদেশ বইমেলার। সূচনালগ্নে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গগনেন্দ্র প্রদর্শশালার কক্ষে। তবে নির্দিষ্টস্থানে মেলাটিকে রাখা যায়নি। বারবার স্থান এবং সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। এরপর নন্দন-রবীন্দ্রসদন চত্বর ঘুরে বাংলাদেশ বইমেলা হয়েছে রবীন্দ্রসদনের পশ্চিম পাশে মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে। মাঝে করোনা কারণে একবছর বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।

এরপর ২০২২ সালে প্রথমবারের জন্য বাংলাদেশ বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় কলেজ স্কোয়ারে। তখনই উদ্যোক্তারা প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী বাত্যবসু জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমতি দিলে শহরের বইপাড়া অঞ্চলে, বাংলাদেশ বইমেলা স্থায়ীভাবে করতে চায়। সেবার রাজ্য সরকারে পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে কোনো সম্মতি না দিলেও দেখা যাচ্ছে ২০২৩ -এ হতে চলা বাংলাদেশ বইমেলা, কলেজস্ট্রিট চত্বেরই হচ্ছে। গতবার বাংলাদেশ বইমেলা উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সহ বিশিষ্টজনরা।

তবে বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি, জাতীয় সংসদ নির্বাচন রয়েছে। ফলে বইমেলার দিনে কোন মন্ত্রী বা সংসদ উপস্থিত থাকবেন সে সম্পর্কে এখনই বলা সম্ভব নয় বলে, উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এখনো শিডিউল তৈরি না হলেও জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের কবি সাহিত্যিক প্রবন্ধকাররা উপস্থিত থাকবেন। উপস্থিত থাকবে সাংস্কৃতিক জগতের ব্যক্তিত্বরা। মেলা মঞ্চে প্রতি সন্ধ্যায় থাকবে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার কবিতা পাঠ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

মূলত কলকাতার বই পাড়ায় নিত্যদিন ভিড় লেগে থাকে। একদিকে যেমন গোটা বাংলার পাইকারি এবং খুচরা বইয়ের বাজারে এই কলেজস্ট্রিট। অপরদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, সংস্কৃত কলেজ, হেয়ার স্কুলসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে কলেজস্ট্রিট জুড়ে। এছাড়া বাড়তি পাওনা কফি হাউসের আড্ডা প্রেমীদের জমায়েত। যে কারণেই উদ্যোক্তারে পছন্দের স্থান এ অঞ্চল।

গতবার ৭৭টি বাংলাদেশি প্রকাশনা বইমেলায় অংশ নিয়েছিল। আয়োজকদের মতে, কলেজ স্ট্রিট বেছে নেওয়ার কারণে অন্যান্য বারের তুলনায় গত বছর লাভের মুখ দেখেছিল প্রকাশকরা। ফলে লেখক-পাঠকদের মধ্যে দিয়ে দুই বাংলার মনের আদান-প্রদানের পাশাপাশি ব্যবসায়িক লাভ মিলিয়ে এবারও পশ্চিমবঙ্গের পুস্তকপ্রেমীদের নজড় কারবে বাংলাদেশ বইমেলা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা,নভেম্বর ২০,২০২৩
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।