ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

বাংলার আরও ১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি, টিকিট পেলেন না শ্রিংলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
বাংলার আরও ১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি, টিকিট পেলেন না শ্রিংলা

কলকাতা: লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের আরও কয়েক আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি।  

রোববার (২৪ মার্চ) দীর্ঘ মিটিংয়ের পর এদিন রাতে দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তর থেকে ঘোষণা করা হয়েছে বাংলার ১৯ আসনের প্রার্থীদের নাম।

তবে এবারে বঙ্গবাসী অপেক্ষায় ছিলেন দার্জিলিং আসন থেকে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নাম ঘোষণা হতে পারে। কারণ এমন চর্চা চলছিল রাজ্যজুড়ে। সে কারণে এক প্রকার প্রচারণায় প্রস্তুতও ছিলেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। কিন্তু নাম ঘোষণায় দেখা গেছে, শ্রিংলা তালিকায় নেই।  

বাংলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শ্রিংলা প্রার্থী হলে অবশ্যই জয় পেতেন। তিনি শুধু সাধারণ সংসদ সদস্য হয়েই থাকতেন না। প্রথম সারির মন্ত্রিত্বও পেতে পারতেন তিনি।

শ্রিংলা দায়িত্ব পেলে অনেক ক্ষেত্রে বাংলা এগিয়ে থাকত বলেই মনে করছেন তারা। কারণ শ্রিংলার সঙ্গে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের তুলনা টানা হয়। প্রণবের পর এত বড় মাপের ব্যক্তিত্ব বাংলায় নেই। শ্রিংলাই হতে পারতেন বাংলার অন্যতম রূপকার। তাছাড়া প্রতিবেশী বাংলাদেশকে হাতের তালুর মতো চেনেন শ্রিংলা। তাকে বাংলাদেশের বড় অংশ পছন্দও করে। ফলে দুদেশের কূটনৈতিক বিষয়ে বাংলার পথ আরও শক্তিশালী হত। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পুরোনো সংসদ সদস্যের ওপরেই ভরসা রেখেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি। দার্জিলিং আসনে এবারও বিজেপির টিকিট পেয়েছেন রাজু বিস্তা। তিনি গত বার চার লাখ ভোটে জেতা জয়ী সংসদ সদস্য।

গত ২ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের মধ্যে ২০ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল বিজেপি। ২২ দিন পর রোববার বাংলার আরও ১৯ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তারা। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিধায়ক তাপস রায়। তাকে উত্তর কলকাতা আসনে প্রার্থী করেছে বিজেপি।

কলকাতা উত্তর তাপসের বেড়ে ওঠা হলেও কোনো অদৃশ্য অঙুলিহিলনের জন্য তাপসকে বরানগর আসনের প্রার্থী করত তৃণমূল। তাপসের অভিযোগ, তৃণমূলের বর্তমান সংসদ সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কখনই চাইতেন না উত্তর কলকাতার প্রার্থী হোন তাপস। যে কারণে নেত্রী মমতা এবারও সুদীপের ওপরেই ভরসা রেখেছেন।  

অপরদিকে বিজেপি একটা মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে তাপসকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামিয়ে। দুই শক্তির চরম ফাইট হবে উত্তর কলকাতা আসনে। তবে সুদীপ হারলে বিজেপির ইতিহাসে প্রথম কোনো আসন কলকাতার ভেতরে পাবে, যা বাংলার ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ

এছাড়া দক্ষিণ কলকাতা আসন থেকে দেবশ্রী চৌধুরী, দমদম আসনে শীলভদ্র দত্ত, ব্যারাকপুর আসনের টিকিট পেয়েছেন তৃণমূল ত্যাগী অর্জুন সিংহ। কেন্দ্র বদলে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন পেয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান-পূর্বে অসীম সরকার, মেদিনীপুর কেন্দ্র ছিল দিলীপ ঘোষের। তার বদলে আনা হয়েছে ফ্যাশন ডিজাইনার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে।

এছাড়া রায়গঞ্জ আসনে কার্তিক পাল, শ্রীরামপুর আসনে কবীর শঙ্কর বোস, আরামবাগ কেন্দ্রে অরূপ কান্তি দিগার, তমলুক আসনের টিকিট পেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি কিছুদিন আগে আদালত ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বসিরহাট কেন্দ্রে রেখা পাত্র, বারাসত আসনে স্বপন মজুমদার, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে অমৃতা রায়, জলপাইগুড়িতে জয়ন্ত রায়।

জঙ্গিপুর আসনে ধনঞ্জয় ঘোষ, মথুরাপুর কেন্দ্রে অশোক পুরকাইত, উলুবড়িয়া আসনে অরুণ উদয় পালচৌধুরী মতো রাজনীতিবিদরা বিজেপির টিকিট পেলেন। বাকি রাজ্যের ৪২ আসনের মধ্যে ৩ আসনের প্রার্থীর নাম এদিনও ঘোষণা করেনি বিজেপি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
ভিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।