ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

ভারত

‘এক বিশ্ব এক পরিবার’ বার্তা নিয়ে ভ্রমণরত সম্পূর্ণ শুক্লা এখন আগরতলায় 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
‘এক বিশ্ব এক পরিবার’ বার্তা নিয়ে ভ্রমণরত সম্পূর্ণ শুক্লা এখন আগরতলায় 

আগরতলা (ত্রিপুরা) : ভারতে একটি প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে ‘বসুদেবও কুটুম’ অর্থাৎ বিশ্বের সবাই আমরা এক পরিবারের সদস্য। এটি শুধু প্রচলিত একটি প্রবাদ নয়, ভারতের বেশির ভাগ মানুষ মনে প্রাণে এই কথা বিশ্বাস করেন।

প্রতিটি ভারতবাসীকে এই বিষয়ে আরো সচেতন এবং এই কথাটি যে সত্য তা প্রমাণ করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাই সাইকেলে করে সারা ভারতবর্ষ ঘুরে বেড়াচ্ছেন সম্পূর্ণ শুক্লা নামের এক যুবক।  

২৩ বছর বয়সের এই যুবকের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌ শহরে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে ঘুরে এখন তিনি অবস্থান করছেন উত্তর-পূর্বের একেবারে প্রান্তিক রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়। তিনি জানান ১০আগস্ট ২০২৩ গুজরাট রাজ্যের দ্বারকা শহর থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। নগদ অর্থ ছাড়া এবং কোন সরকারি সহায়তা ছাড়া কি করে সারা দেশ ঘুরা যায় এবং প্রমাণ করা যায় আমরা একে অপরের আত্মীয় তার জন্য তিনি সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাস্তায় রাস্তায়।
 
বৃহস্পতিবার(৯ মে) আগরতলা প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে তার এই ভ্রমণের বিষয়ে বাংলানিউজকে বলতে গিয়ে জানান, তিনি পেশায় একজন রেডিও জকি। তবে তিনি তার জীবনের এক শতাংশ প্রকৃতি রক্ষা এবং মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলার জন্য সমর্পণ করেছেন। তার অংশ হিসেবে তিনি সাইকেল নিয়ে দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েছেন। গত ৯ মাসে তিনি গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মনিপুর হয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে পৌঁছেছেন। এই যাত্রা পথে তিনি ১১ হাজার সাতশ কিলোমিটারের বেশি পথ পরিক্রমা করে নিয়েছেন। তিনি ত্রিপুরায় এসে উদয়পুরের ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির দক্ষিণ জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেছেন, পাশাপাশি উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ, আখাউড়ার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। ত্রিপুরা পরিক্রমা শেষে তিনি উত্তর ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন।
 
তিনি যেসব রাজ্যে যাচ্ছেন বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রকৃতির রক্ষা এবং সৌভ্রাতৃত্ববোধের উপর আলোচনা করছেন। সারা ভারত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বই লিখবেন অথবা পডকাস্টের মাধ্যমে তা তুলে ধরবেন বলেও জানান। ত্রিপুরার মানুষের আতিথেয়তা তার খুব ভালো লেগেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে আয়োজিত প্রোগ্রামে তিনি অংশ নিয়ে বলেছেন বাংলা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হলে ত্রিপুরাতে আসতে হবে, ত্রিপুরা রাজ্যে না এলে বাংলা সংস্কৃতি জানার বিষয়টি অর্ধেক থেকে যাবে বলেও তার অভিমত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
এসসিএন/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।