ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

আনার হত্যা: জিহাদ ও সিয়ামের আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৪
আনার হত্যা: জিহাদ ও সিয়ামের আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত

কলকাতা: ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত কসাই জিহাদ হাওলাদার ও সিয়াম হোসেন উভয়কেই আবার  ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের (জেল হেফাজত) নির্দেশ দিল ভারতের আদালত।

শুক্রবার (৫ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত আদালত এই নির্দেশ  দিয়েছেন।

 

যদিও এদিন অভিযুক্তদের কাউকেই আদালতে পেশ করা হয়নি। বর্তমানে তারা উভয়েই দমদমের কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। সেখান থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আসামিদের বক্তব্য শোনেন এবং পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) শুভঙ্কর বিশ্বাস। আগামী ১৯ জুলাই ফের তাদের আদালতে তোলা হবে।

এ ব্যাপারে বারাসাত আদালতের আইনজীবী আসলামুজ্জামান সাহেব জানান, আজ সিজেএম আদালত অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনেন এবং তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। মহামান্য আদালত আগামী ১৯ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।  

এদিকে কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই অভিযুক্ত জিহাদ ও সিয়ামের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে আদালতে। ফিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতেই এই গোপন জবানবন্দি দেন দুই অভিযুক্ত। আপাতত সেই জবানবন্দি সিলবন্ধ খামেই রয়েছে বলে জানান আইনজীবী।  

আইনজীবী আরও জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় এই খুনের মামলায় সাক্ষী হিসেবে পিন্টু দাস এবং সঞ্জয় লোহিয়া নামে দুই ব্যক্তির বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। বক্তব্যে তারা দুজনই জানিয়েছে জিহাদকে যে ব্যক্তি ভারতের মুম্বাই থেকে নিয়ে এসেছিল তাকে তারা শনাক্ত করতে পেরেছেন। শুধু তাই নয়; এই দুই সাক্ষী কারাগারে গিয়ে অভিযুক্ত জিহাদকেও শনাক্ত করেছেন।

গত ২৩ মে জিহাদকে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করে রাজ্যটির গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। অন্যদিকে, গত ৭ জুন সিআইডি গ্রেপ্তার করা হয় সিয়ামকে।

গত ১৩ মে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীনের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড হয় বলে জানা যায়।

খুনের পর সেই লাশের টুকরোগুলোকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার ভাঙ্গড় ব্লকের কৃষ্ণমাটি খাল এলাকায় ফেলা হয়। পরবর্তীতে ওই খাল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করে সিআইডির কর্মকর্তারা। যা দেখে সিআইডি কর্মকর্তা ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান সেগুলি মানুষের হাড়।

পাশাপাশি সঞ্জীবা গার্ডেনের ওই আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৪ কেজি মাংস। উদ্ধারকৃত ওই মাংস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ‘সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি’-তে। ল্যাবরেটরির প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী মাংসগুলো পুরুষ মানুষের। তবে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট আসেনি বলেই সিআইডি সূত্রে খবর।

যদিও সেই খণ্ডবিখণ্ড লাশ এমপি আনারের কি না তা জানতে এবার ডিএনএ পরীক্ষা করবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা এবং সে লক্ষ্যে এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন কলকাতায় আসতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৪
ভিএস/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।