কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানির মামলায় কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনো মানহানিকর বা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা যাবে না।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এমন নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাও।
গত ৩০ এপ্রিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে কলকাতার থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক নারী। নিজেকে তিনি রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী বলে দাবি করেছিলেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যপাল। এরপর রাজভবনের তরফে শতাধিক মানুষকে ৩০ এপ্রিলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হয়েছিল রাজভবনের তরফে। তাতেও কিছু সামনে আসেনি।
তবে রাজভবনে যেতে নারীরা ‘ভয়’ পাচ্ছেন বলে, একাধিকবার মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার মমতার মন্তব্যে রুষ্ট রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমন মন্তব্যের কারণে মমতার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল।
সেই মামলায় তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রায়াত হোসেন এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও যোগ করা হয়। সংবাদমাধ্যমকেও মামলায় যোগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। মামলার শুনানির সময় রাজ্যপালের আইনজীবী আবেদন জানিয়েছিলেন, মামলা চলাকালীন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিক হাইকোর্ট।
সোমবার মামলার শুনানি শেষ হয়। তবে অন্তর্বর্তী নির্দেশ স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি। মঙ্গলবার বিচারপতি অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানালেন, ১৪ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানিকর কিংবা অসত্য বিবৃতি দেওয়া যাবে না।
নির্দেশে বিচারপতি জানিয়েছেন, যদি অন্তর্বর্তী নির্দেশ না দেওয়া হয়, তাহলে মামলাকারীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করতে ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হবে। এর ফলে মামলাকারীর মর্যাদাহানি ঘটবে। সেকথা মাথায় রেখেই আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনোরকম মানহানিকর মন্তব্য করা যাবে না বলে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। কোনোরকম লিখিত বা সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ আগস্ট হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ