কলকাতা: পূজার মৌসুম, রাত পোহালেই দুর্গোৎসবে মাতবে কলকাতাবাসী। তবে উৎসব তো আর খালি পেটে হয় না।
সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার দায়ী করছে অতিবৃষ্টি ও বন্যাকে। বন্যায় তলিয়ে গেছে ফসল। শুধু বাংলায় নয় এ সমস্যা প্রায় ভারতজুড়ে। তার সঙ্গে আছে মণিপুরে লাগাতার সহিংসতা। এর কারণে আদা, রসুনের সরবরাহ কমে গেছে। বর্ষার কারণে পাঞ্জাব, বিহারের মতো রাজ্যগুলোয় তলিয়ে গেছে সরষে জমি। এ কারণে দাম বেড়েছে সরিষার তেলের। একই সঙ্গে বাংলায় কাঁচা মরিচের জমি তলিয়ে গেছে।
যদিও রাজ্যবাসী বলছে, বাংলায় উৎসব এলেই সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতাদের অভিমত, পাইকারি থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, ফলে দাম বাড়াতে হচ্ছে। যদিও অসাধু এই সরবরাহ ভাঙতে প্রতিনিয়ত বাজারদরে নজর রাখছে সরকার। শহরের যেকোনো বাজারে আকস্মিক অভিযানে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবুও নাগালে আনা যাচ্ছে না বাজারদর।
গত এক মাস আগে যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ রুপি, রোববার (০৬ অক্টোবর) তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ থেকে ৮০ রুপিতে। এমনটি অব্যাহত থাকলে মাসের মাঝামাঝি আরও একবার পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি হাঁকাতে চলছে। দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এক সপ্তাহ আগে মরিচের কেজি ছিল ১০০ রুপি কেজি, এখন ২০০ রুপি। আদা-রসুনের কেজি ১২০ রুপি থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০০ রুপি। আলুর কেজি ৩৫ রুপি। পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ২৮ রুপি, মুরগির কেজি ২০০ রুপি, খাসি ৮৬০ রুপি, গরুর মাংস হাড়সহ ২৮০ থেকে ৩০০ রুপি, হাড় ছাড়া ৩৮০ থেকে ৪০০ রুপি।
দাম বেড়েছে চাল, ডাল, তেল চিনির। এক লিটার সরিষার তেলের দাম ছিল ১২০ রুপি, এখন হয়েছে ১৬০ রুপি। সয়াবিন তেলের লিটার ১৩০ রুপি। মুগ ও মসুর ডাল যথাক্রমে ১২০ ও ১৩০ রুপি কেজি। চিনির কেজি দুই রুপি বেড়ে হয়েছে ৪৭ রুপি। বেড়েছে মশলার দামও। দাম বাড়লেও বাড়েনি বাংলার আয় রোজগার।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৪
ভিএস/আরএইচ