ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

প্রবল শক্তি নিয়ে আসছে ‘দানা’, রাত জাগবেন মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
প্রবল শক্তি নিয়ে আসছে ‘দানা’,  রাত জাগবেন মমতা

কলকাতা: প্রবল শক্তি নিয়ে বাংলা ও উড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার রাতেই ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ঝড়টি।

উড়িষ্যার ধামরা বন্দর ও ভিতরকণিকার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে এটি উপকূলে উঠে আসতে পারে। এতে বড় প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে।

দুর্যোগ মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এ নিয়ে আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আজ তিনি স্টেশন ছাড়ছেন না। অর্থাৎ আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের প্রশাসনিক ভবনে থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্পূর্ণ গতিবিধির ওপর নজর রাখবেন।

পাশাপাশি তিনি বলেন, মানুষের জীবন সবচেয়ে দামি। কারো যেন সমস্যা না হয়। তা পর্যবেক্ষণ করার কারণে রাতে নবান্নে থেকে দুর্যোগের মনিটরিং করব। ঝড় নিয়ে যেন কেউ গুজবে কান না দেয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য প্রস্তুত।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যখনই ঝড়ের ল্যান্ডফল হোক না কেন, আমরা তৈরি। অনেক বলছেন, দানা উড়িষ্যায় ল্যান্ডফল করবে। বাংলায় ততটা প্রভাব পড়বে না। তবে এটি ঠিক তথ্য নয়। কারণ কেউ যদি দোতলা বাড়িতে থাকে, তার একতলায় আগুন লাগলে অন্যটিতেও ক্ষতি হয়। ফলে বাংলায় প্রভাব পড়বে না, তা ঠিক নয়।

তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় মোট ৮৫১টি ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৮৩ হাজার ৫৮৩ জন। উপকূলে নজর রাখা হচ্ছে। আরও মানুষকে ক্যাম্পে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এক লাখ ৬৯ হাজার মানুষকে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।  

মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি মুখ্যসচিবসহ প্রশাসনিক কর্তারাও বৃহস্পতিবার রাতে থাকবেন নবান্নে। ইতোমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় নবান্নের পাশাপাশি জেলাগুলোতেও ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, উড়িষ্যার পারাদ্বীপ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, ধামারা থেকে ২১০ কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় দানা। স্থলভাগে ওঠার সময় ঘণ্টায় এর গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
 
ইতোমধ্যে কলকাতাসহ জেলাগুলোয় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইছে। সময়ের সঙ্গে বৃষ্টি ও ঝড়ের গতিবেগ আরও বাড়বে। ‘দানা’ স্থলভাগে ওঠার সময় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়া বইতে পারে কলকাতায়।  

দুর্যোগের শঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমান পরিষেবা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। ওই সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরে কোনও উড়োজাহাজ ওঠানামা করবে না।  

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় রেলের পক্ষ থেকে আগেই ১৯০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অঘটন এড়াতে তৎপর কলকাতা করপোরেশন ও কলকাতা পুলিশ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
ভিএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।