কলকাতা: পাকিস্তানের সাথে ভারতের চলমান উত্তেজনায় বিতর্কিত মন্তব্য করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো ভারতে যাতে আর দেখা না যায়, সেই আর্জি লিখিত জানিয়েছি, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে।
শুক্রবার (৯ মে) উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিজেপির ওই নেতা এ কথা জানান।
শুভেন্দু বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো মিডিয়া আর দেখতে পাবেন না। গোটা বিষয়টা নিয়ে আমি অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি লিখেছি। মৌখিকভাবে আমি জানতে পেরেছি, ভারত সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের তরফে অফিসিয়ালি এ সম্পর্কিত কোন চিঠি আমার কাছে এসে পৌঁছয়নি।
তিনি আরও বলেছেন, একাধিক অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, খবরের চ্যানেল এবং ইউটিউবে সম্প্রচারিত ভুয়া, মিথ্যা, ভারতবিরোধী প্রোপাগান্ডা এবং প্রো-পাকিস্তানি খবর করছে। সেই লিংকগুলো ভারত সরকারকে পাঠিয়েছি। আসলে এরা সবাই রাজাকারের নাতিপুতি। ভারত না থাকলে ১৯৭১ সালে এই দেশটা তৈরি হতো না।
বাংলাদেশকে নিশানা বিজেপি নেতা বলেছেন, পাকিস্তান সীমান্তে অনেকগুলি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তে দুইটি ড্রোন দিলেই হবে। এটা আমি অনেক আগেই বলেছি। কয়েক হাজার রিকশা ছাড়া বাংলাদেশে কিছুই নেই।
এর আগে এদিন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায়, ২৫ শে বৈশাখ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে, সাংবাদিকদের প্রশ্নে, বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেছেন, বাংলাদেশে কতগুলো উচ্ছৃঙ্খল আছে, যাদের রিকশাই সম্বল, তাদের কথা আমি বলছি না। কিন্তু ভারতবর্ষের মাটিতে থেকে রাজাকার এবং পাকিস্তানপ্রেমী বাংলাদেশের পোস্টগুলোকে যারা রিপোস্ট বা শেয়ার করছেন, সে ব্যাপারে গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃংখলা বাহিনী যেখানে যেখানে প্রমাণিত অভিযোগ পেয়েছে, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। আপনাদের নজরেও যদি এরকম কিছু পরে, তাহলে অবিলম্বে স্থানীয় প্রশাসনকে জানান।
ভুয়া, প্ররোচনামূলক, বিভ্রান্তকর তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে গত কয়েকদিনে পাকিস্তানের একাধিক খবরের চ্যানেল, স্পোর্টস চ্যানেল নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে। একইসাথে বৃহস্পতিবার থেকে ৮ হাজার এক্স হ্যান্ডেল (টুইট) নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল থেকেই যমুনা টিভি ও ৭১ টিভি দেখা যাচ্ছে ভারত থেকে।
ভিএস/