কলকাতা: কংগ্রেস এবং বামেদের ‘জোট’ পশ্চিমবঙ্গের মসনদে কালবৈশাখী আনতে পারবে কি না তা নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কিন্তু ছোট নাগপুর মালভূমি আর বঙ্গোপসাগরের ‘জোট’ কালবৈশাখী আনবে এই ভরসা রাখতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।
জল সংকট ক্রমশ প্রকট হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার মত বেশ কয়েকটি জেলায়। প্রবল তাপদাহ আছড়ে পড়েছে বীরভূম, বর্ধমান, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গায়। এর সঙ্গেই প্রবল বেগে গরম হাওয়া ঢুকছে ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে।
কলকাতার সোমবারের (২৫ এপ্রিলের) তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে কিছুটা জলীয় বাষ্প থাকায় ঘাম হলেও, শুকনো গরম হাওয়ার দাপট কিছুটা কম। কিন্তু আগামী পাঁচ দিনে এই তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে ঘোরাফেরা করবে বলেই অনুমান।
এদিকে রোববার (২৪ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য উড়িষ্যার তিলতাগড় এলাকার তাপমাত্রা প্রায় অর্ধশতকের গণ্ডি ছুঁইছুঁই অবস্থায় পৌঁছেছিল।
রোববার সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৪৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা সেখানে ১১৬ বছরের ইতিহাসে কখনও হয়নি।
সূর্যের উত্তরায়ণের ফলে তাপমাত্রা বাড়ার কথা। একদিকে ছোট নাগপুর মালভূমির মাটি তেতে উঠবে, আর একদিকে জলীয় বাষ্প ঢুকবে বঙ্গোপসাগর থেকে। এই ‘জোট’ই জন্ম দেবে কালবৈশাখীর। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই বছর এটা হচ্ছে না, ফলে অবাক আবহাওয়াবিদরা।
কিন্তু এর কারণ কি? তাদের মতে, জোলো বাতাস ঢোকানোর কারিগর উচ্চচাপ বলয় উপকূল থেকে সরে গেছে গভীর সমুদ্রে। এটাই এর কারণ। ফলাফল তীব্র তাপ প্রবাহ। তবে আশার কথা একটাই উত্তরবঙ্গ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হবে। এর প্রভাবেই জলীয় বাষ্প ঢুকবে গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে। তবে এখনই বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের এখনও তাপমাত্রা বেশ কম। কিন্তু পূর্ব ও উত্তর ভারতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গরম। এই অভূতপূর্ব ঘটনার উত্তর জানতে গবেষণা করার প্রস্তাব দিয়েছে দিল্লীর মৌসম ভবন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৬
ভি.এস/আরআই