আগরতলা: ত্রিপুরা রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী ও আদিম জাতি গোষ্ঠী হল ব্রু রিয়াং জনগোষ্ঠী। তাদের মাতৃভাষা হল কব্রু।
ব্রু সাহিত্য একাডেমি’র পিপলস ল্যাঙ্গুয়েজস্টিক সার্ভে অব ইন্ডিয়া(পিএলএসআই) এন জি ও। যারা ভারত সরকারের হয়ে কাজ করে। তারা মূলত দেশের বিভিন্ন ভাষা নিয়ে কাজ করে। পিএএসআই তাদের তালিকায় ব্রু জন জাতির মাতৃভাষা হিসেবে ককবরককে উল্লেখ করেছে।
ত্রিপুরা, মিজোরাম সহ উত্তরপূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশ মিলিয়ে প্রায় ৬ লাখ ব্রু রিয়াং জনগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন। পিএলএস আই’র ভুল সিদ্ধান্তে এত সংখ্যক মানুষ তাদের মাতৃভাষা হারাতে বসেছেন। এর প্রতিবাদে ও ব্রু জন জাতির মাতৃভাষা কব্রু’র স্বীকৃতির দাবীতে কাজ করছে ব্রু সাহিত্য একাডেমি সহ আরও কিছু সংগঠন।
রোববার(২২ মে) আগরতলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে একথা জানান
ব্রু সাহিত্য একাডেমি’র সভাপতি পঞ্চরাম রিয়াং।
তিনি জানান কব্রু’র স্বীকৃতির দাবিতে এখন ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চলছে। এই গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবি সনদ পি এল এস আই’র আধিকারীকদের কাছে পাঠিয়ে কব্রু ভাষার স্বীকৃতির দাবী জানানো হবে বলেও জানান পঞ্চরাম
রিয়াং।
পাশাপাশি তিনি আরও আশঙ্কা করেন ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তপশিলে যদি
অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় যে ককবরক ব্রু জনজাতির মাতৃভাষা তবে তা পরিবর্তন করা
কঠিন হবে। তাই তিনি সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৬
পিসি