ঢাকা: কয়লার কড়া আগুন। রক্ত বর্ণের আগুন ঝলছে।
কিন্তু এই কুসংস্কার মানতে গিয়ে আগুনে পুড়ে দগ্ধ হতে হয়েছে বাপ-বেটা দু’জনকেই। রোববার (১২ জুন) এমনই ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তান-ভারত সীমান্তের রাজ্য পাঞ্জাবের জলন্ধরে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, এ সময়টায় রাজ্যের কাজি মান্ডিতে মা মারিয়াম্মার উত্সব চলে। উৎসব উপলক্ষে গোটা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী আসেন।
জলন্ত কয়লার আগুনের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়াই এই উৎসবের প্রথা। ছয় থেকে ষাট বছরের বুড়োরাও ওই সংস্কার মেনে চলেন।
রোববার সে প্রথা মেনেই কার্তিক এবং তার বাবাও আগুনের উপর দিয়ে হাঁটছিলেন। নিয়ম মতো আগুনের উপর দিয়ে হাঁটার আগের সাত দিন উপোস থাকতে হয়।
সে রীতিও মেনেছিলেন বাবা-ছেলে। এরপর ছেলেকে কোলে নিয়ে জলন্ত কয়লার উপর দিয়ে হাঁটা শুরু করেন তারা।
কিন্তু মাঝপথে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন কার্তিকের বাবা। এ সময় কোল থেকে ছেলে পড়ে যায় ওই আগুনে। সঙ্গে সঙ্গে উপুড় হয়ে পড়েন তার বাবাও।
বিষয়টি দেখে আশপাশে থাকা মানুষজন তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের চিকিত্সক জংপ্রিত সিং বলছেন, বেশ কয়েক দিন না খাওয়ার ফলেই শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন বাবা। আর সেজন্যেই আগুনে পা দেওয়ার পর ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি।
‘আগুনে বাবার শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আর ছেলে কার্তিকের পুড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ’
এনডিটিভি জানায়, পাঞ্জাবের জলন্ধরের এই উৎসবে বছর তিনেক আগে মায়ের কোল থেকে একই রকম ভাবে আগুনে পড়ে যায় কন্যা শিশু কন্যা। কিন্তু অবিশ্বাস্য রকমভাবে বেঁচে যায় শিশুটি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৬
এমএ/