কলকাতা: বাঙালি আর ফুটবল যেনো একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিকভাবে যুক্ত। বাঙালি দেশেই থাকুক আর বিদেশে, ফুটবল খেলার আকর্ষণ এ জাতির কাছে সবসময়ই ভিন্ন মাত্রা দেয়।
এর প্রমাণ পাওয়া গেলো পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার সিঙ্গুরে। সিঙ্গুর একাদশের হয়ে মাঠে নেতৃত্ব দিতে নামলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনার জকি আহাদ।
সংস্কৃতি প্রেমী, প্রশাসক সর্বোপরি কূটনীতিক হিসেবে তাকে এতদিন দেখে এসেছে এখানকার মানুষ। ‘খেলোয়াড়’ হিসেবে তাকে দেখার উৎসাহ কম ছিলো না। শুধু খেললেন না দর্শকদের হাততালিও কুড়ালেন।
অন্যদিকে কলকাতা একাদশের অধিনায়ক হয়ে মাঠে নামলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য সুজিত কুমার বোস। শীতের বিকেলে এই খেলা দেখতে জড়ো হয়েছিলেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল শ্যামল কুমার সেন মহাশয়।
সম্মানীয় অতিথি ছিলেন বেলুড় মঠের সহ সম্পাদক বলভদ্রানন্দজী মহারাজ, দক্ষিণেশ্বর আদ্যাপীঠের সম্পাদক ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই, পশ্চিমবঙ্গের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, ক্রিকেটার তথা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষীরতন শুক্লা, সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, মহকুমা শাসক দেবাশীস বিশ্বাস, পশ্চিমবঙ্গ ক্রিকেট দলের সদস্য সৌরাশিস লাহিড়ী, ভারতীয় অলিম্পিক ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক সমর (বদ্রু) ব্যানার্জি, সঙ্গীতশিল্পী শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং চিকিৎসক অমিত রায় প্রমুখ।
আয়োজকদের পক্ষে ছিলেন বিচারপতি তপন কুমার মুখার্জি ও আয়োজক মানস কুমার ঘোষ।
খেলার পরে জকি আহাদ বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ ১৮ বছর পর তিনি মাঠে ফুটবল খেলতে নামলেন। যদিও বছর পাঁচেক আগে একবার ক্রিকেটের ময়দানে নেমেছিলেন। তবে ফুটবল খেলার উপলব্দি ভোলার নয়। খেলায় তিনিই ছিলেন একমাত্র বিদেশি ও সিঙ্গুর দলের অধিনায়ক।
সিঙ্গুর দল কলকাতা দলের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়।
জকি আহাদ বলেন, খেলায় স্পিরিটটাই আসল। যেহেতু এই খেলায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা প্রত্যেকেই বরিষ্ঠ এবং ফুটবল জগতের তারকা। তাই তাদের উৎসাহকে কুর্নিস জানাবার দাবি রাখে।
দুই দেশের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ক্রীড়া ক্ষেত্রেও দুই বাংলার মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ সৃষ্টি হলে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নয়ন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৬
ভিএস/এমএ