রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, স্পিকার থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী, এমনকি রাজ্যপাল, মন্ত্রী, আমলা- কারো গাড়িতেই লালবাতির সাইরেন থাকবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই কারণে মোটরযান আইনের যে ধারায় এই লালবাতি লাগানোর কথা বলা ছিল সেটিকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করির দাবি, এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।
সম্প্রতি এক ভিআইপির গাড়ি যাওয়ার সময় পুলিশ একটি অ্যাম্বুল্যান্স আটকে দেয়। যাতে ছিল এক আহত শিশু। এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় গোটা ভারতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে যখন দিল্লি বিমানবন্দরে যান তখন সাধারণ ট্রাফিকের মধ্যেই তিনি গিয়েছিলেন। যদিও এর আগেই ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেদের গাড়ি থেকে লালা আলো খুলে ফেলেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই লাল আলোর গাড়ি ব্যবহার করেন না। নরেন্দ্র মোদির এই পদক্ষেপ ভারতে ভিআইপি সংস্কৃতি অনেকটাই কমিয়ে আনবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এসএস/আইএ