সোমবার (৩ জুন) ভোরে কলকাতার পৈত্রিক বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। মাস দু’য়েক আগে ফুঁসফুঁসে ক্যানসার ধরা পড়ে তার।
অমিত বসুর মৃত্যুর খবর বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন তার দিদি সুমিতা ঘোষ।
মৃত্যুকালে তিনি অসুস্থ মা, পুত্র ছাড়াও অসংখ্য বন্ধু ও সহকর্মী রেখেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাষিশ সুর ও সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিকসহ কলকাতা ও বাংলদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার মিয়া মহম্মদ মাইনুল কবির ও প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল।
অমিত বসু দীর্ঘদিন বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যুক্ত ছিলেন। অতিথি লেখক হিসেবে বাংলানিউজের হয়ে নিয়মিত কলম ধরেন তিনি। এছাড়া ঢাকার দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় কলকাতা প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।
একই সঙ্গে কলকাতার ’তারা নিউজ’ এর বাংলাদেশ বিভাগের সম্পাদকদের দায়িত্বও সামলেছিলেন। পেশার কারণে বিশ্বের বহু দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন বর্ষীয়ান এ সাংবাদিক। কয়েক বছরে ধরে আনন্দবাজার পত্রিকার নিয়মিত বাংলাদেশ বিষয়ক লেখা লিখতেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি নিয়মিত উপন্যাসও লিখে গেছেন তিনি। মরমিয়া, বিহান, উজান তার লেখা উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম। অমিত বসুর জন্ম ১৯৫৭ সালে ৯ আগস্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৭
ভিএস/এএ