ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

সুফিবাদ নিয়ে আহমদুল হকের গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৮
সুফিবাদ নিয়ে আহমদুল হকের গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ‘সৈয়দ আহমদুল হক রচনাবলি প্রথম খণ্ড’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান

কলকাতা: ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। কোনো ধর্মই হানাহানির শিক্ষা দেয়নি। তবুও ধর্মকে সামনে রেখে সারা বিশ্বে চলছে হানাহানি। এর মধ্যে সুফিবাদ বা সুফি চিন্তা সত্য ও শান্তির অন্যতম পথ।

সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসবাদের দমবন্ধ পরিবেশ থেকে সত্য ও শান্তির পথ বাতলাতে একটু অন্যপথে হাঁটলো এশিয়াটিক সোসাইটি।  

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার (৬ মার্চ) 'আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ও বাংলার রুমি সৈয়দ আহমদুল হক' বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্র ও গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।

এটি অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির বিদ্যাসাগর হলে।  

অনুষ্ঠানে সুফিবাদ নিয়ে প্রবন্ধের সংকলন ‘সৈয়দ আহমদুল হক রচনাবলি প্রথম খণ্ড’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

আলোচকরা বলেন, সুফিবাদ এমন এক চিন্তা যা সব ধর্মের কাছে গ্রহণযোগ্য। হাজার বছর ধরে দু’দেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ সুফিবাদ। তাই একে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। এক ধর্ম অন্য ধর্মে বিলীন হয়ে যাওয়া শেখায় সুফিবাদ। 'সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপর নাই' যা শেখায় এই সুফিবাদ। আর সৈয়দ আহমদুল হক সুফিবাদের অন্যতম পথ প্রদর্শক।

প্রধান অতিথির ভাষণ বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা শেখায় সুফিবাদ। পশ্চিমবাংলায় একে অপরের ধর্মের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ। এই পটভূমিতে দাঁড়িয়ে সুফি চিন্তার বই খুবই প্রাসঙ্গিক। এই চিন্তা তারুণ্যের মধ্যে বেশি করে ছড়িয়ে দিতে হবে।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলকাতার দি এশিয়াটি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি সভাপতি আব্দুল করিম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. সুজিত কুমার  দাস।

সৈয়দ আহমদুল হকের পরিচিতি তুলে ধরেন আল্লামা রুমি সোসাইটি ঢাকার সাবেক সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।