নেপালি চা পাতার সঙ্গে অল্প পরিমাণে দার্জিলিং চা পাতা মিশিয়ে তা নেপালের মেচি নদী পেরিয়ে চোরাপথে দার্জিলিং এবং শিলিগুড়িতে আসছে। সেখান থেকে সরাসরি আসছে কলকাতায়।
দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক বসু জানান, নেপালের চা পাতার সঙ্গে সামান্য দার্জিলিং চা মেশানো হচ্ছে। এরপর তাতে মেশানো হচ্ছে ফ্লেভার। চক্রটি এই মিশ্রিত চা পাতাকে দার্জিলিং চা বলে বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা লুটছে। ক্রেতারা নকল চা থেকে দার্জিলিং চায়ের গন্ধ পেলেও স্বাদ পাচ্ছেন না।
তিনি জানান, শুধু নেপালি চা পাতা নয়, অসম চা পাতাও দার্জিলিং চা পাতার সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। নকল দার্জিলিং চায়ের রমরমা রুখতে আমরা টি বোর্ডকে জানিয়েছি। আসলে এটা এককভাবে কেউ করছে না। কয়েকটি ছোট ছোট চক্র এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ জানানোর পর টি বোর্ড ব্যবস্থা নিতে সক্রিয় হয়েছে। কয়েকটা বেআইনি চক্র ধরাও পড়েছে। তবে পুরোপুরি এই চা বিক্রি বন্ধ করা না হলে ভারতে দার্জিলিং চায়ের বাজার আরও মার খাবে।
জানা গেছে, নেপালের (জিটিএ) প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাংও নকল দার্জিলিং চা বিক্রি ঠেকাতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি সেখানের পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
দার্জিলিং-এ টানা ১০৪ দিন বনধের জেরে সেখানে চায়ের উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পাহাড়ের সব বাগানে কাজ শুরু হয়েছে। পাহাড়ের অস্থির পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চক্রগুলি সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
উৎপাদিত দার্জিলিং চায়ের ৭০ শতাংশ অর্থাৎ সাত মিলিয়ন কেজি চা বিদেশে রপ্তানি হয়। বাকি ৩০ শতাংশ চা ভারতের বাজারে বিক্রি করা হয় বলে টি অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ১০ মার্চ, ২০১৮
ভিএস/আরআর