কলকাতার টালিগঞ্জের বাসিন্দা অরিন্দম চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, স্কুলের পরীক্ষা শেষে বাচ্চাদের নিয়ে দার্জিলিংয় গিয়েছিলাম। পরিকল্পনায় ছিল বাচ্চাদের বাতাসিয়া লুপ থেকে টাইগার হিল দেখা আর রোপওয়েতে চড়াবো।
কলকাতা থেকে যাওয়া আরেক পর্যটক বিশ্বজিৎ সরকার হাওড়া স্টেশনে নেমে বাংলানিউজকে বলেন, ভেবেছিলাম হানিমুনে রোপওয়েতে বসে চুটিয়ে রোম্যান্টিকতা করবো। কিন্তু কপাল খারাপ, বন্ধের বিষয়টি আগেই সংবাদমাধ্যমকে জানালে আমাদের সুবিধা হতো।
দার্জিলিংয়ে প্রকৃতির অন্য এক আশ্বর্য সৌন্দর্য় উপভোগ করা যায়। আর এর অন্যতম আকর্ষণ রোপওয়ে। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়, মাঝখানে রোমাঞ্চকর খাদ। সে এক অন্য অনুভূতি। যা এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ হয়ে গেলো।
বনদপ্তরের সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রোপওয়ে কোম্পানি।
‘দার্জিলিং রঙ্গিত ভ্যালি কনভয়ের রোপওয়ে সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড’ এর তরফ থেকে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তরের সঙ্গে ২০ বছরের চুক্তি ছিল যা শেষ হয়েছে ৩১ মার্চ। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গরমে স্বাভাবিকভাবেই পাহাড়ে ছুটির আমেজ নিতে আসা পর্যটকরা রোপওয়ে বন্ধ থাকায় হতাশ। পরবর্তীতে বনদপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় বসে ফের রোপওয়ে চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে বিষয়টি বেশ সময়সাপেক্ষ।
রাজ্য বনদপ্তর ও রোপওয়ে কোম্পানির মধ্যে ১৯৯৮ সালে ২০ বছরের চুক্তি হয়েছিল। ৩১ মার্চ সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার দু’দিন আগেই ২৯ মার্চ বনদপ্তরের তরফ থেকে রোপওয়ে কোম্পানিকে চিঠি দিয়ে এপ্রিল থেকে পরিষেবা বন্ধ করার কথা বলা হয়। চুক্তি থাকলেও রোপওয়ে পরিষেবা চালাতে প্রতিবছর রাজ্য বনদপ্তর থেকে এনওসি নিতে হয়।
মেয়াদ শেষ হতে এবার তারা এনওসি পায়নি। রোপওয়ে থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় হচ্ছিল। এখন তা পুরোপুরি বন্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
ভিএস/এএ