উত্তর জানা তো দূরের কথা, এমন ভাবনাও কখনও মনে আসেনি। কিন্তু সবাই চমকে দিয়ে তাজমহল নিজেদের বলে দাবি করে বসেছে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।
মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) এ মামলার শুনানি চলাকালীন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবির পক্ষে সম্রাট শাহজাহান স্বাক্ষরিত নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
এজন্য বোর্ডকে এক সপ্তাহের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু শীর্ষ আদালতে শাহজাহানের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলে বুধবার (১১ এপ্রিল) দাবি করেন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সিনিয়র কাউন্সেল জাফরিয়াব জিলানি।
তিনি জানান, নিষ্পত্তি আইন মোতাবেক স্মৃতিসৌধ ও সমাধিগুলি ওয়াকফ সম্পত্তি। সমাধির উপর নির্মিত কোনো স্মৃতিসৌধ সর্বদাই ওয়াকফ বোর্ডের।
২০০৫ সালে থেকে তাজমহলের উপর নিজেদের অধিকার দাবি করে আসছে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। বিষয়টি নিয়ে ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই)। তখনই সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (১১ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ওয়াকফ বোর্ডকে বলেন, ভারতে কে বিশ্বাস করবে যে এটা ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি? এ ধরনের বিষয়গুলির জন্য সুপ্রিম কোর্টের সময় নষ্ট না করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, কবে এটা আপনাদের দেওয়া হয়েছে? ২৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল। তারপর এর অধিকার আসে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। তত্ত্বাবধানের ভার পড়ে (এএসআইয়) আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার হাতে।
ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী ভি ভি গিরি জানান, শাহজাহান বোর্ডকে ওয়াকফনামা দিয়েছিলেন।
এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে শাহজাহানের দেওয়া আসল নথিটি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ওই ওয়াকফনামায় শাহজাহান কীভাবে সই করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
ভিএস/এএ