পরদিন ১৮ এপ্রিল কলকাতায় পাকিস্তানের উপ-দূতাবাসে কর্মরত ৭০ জন বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারী বাংলাদেশের আনুগত্য ঘোষণা করে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। রাত ১২টা ৪১ মিনিটে পতাকাটি উড়িয়েছিলেন মোহাম্মদ হোসেন আলী।
পতাকা উত্তোলনের পর তাৎক্ষণিকভাবে দূতাবাসে কর্মরত পাঁচজন পাকিস্তানি কর্মকর্তাসহ সকল কর্মচারীদের বহিষ্কার করে মোহাম্মদ হোসেন আলী মুজিবনগর সরকারের নির্দেশনায় মিশন পরিচালনা করেছিলেন। পতাকা উত্তোলনের এ ঘটনা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলো। এটাই ছিল বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ঐতিহাসিক সেই দিনটিকে স্মরণ করে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তারা সেই বাড়িতে উত্তোলন করেছেন জাতীয় পতাকা।
কনস্যুলার শাখার কাউন্সেলর মনসুর আহমদ, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক-১) মিয়া মো. মাইনুল কবির, কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান বি এম জামাল হোসেন, প্রেস শাখার প্রথম সচিব মো. মোফাকখারুল ইকবাল, শিক্ষা ও ক্রীড়া শাখার কাউন্সেলর শেখ সফিউল ইমাম, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক ও ডিডিও) শাহানাজ আখতার রানু, বাণিজ্য শাখার প্রথম সচিব সাইফুল ইসলাম এবং দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) মৌসুমী ওয়াইজ পতাকার চার কোণায় এবং মাঝে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণ ঘুরে উত্তোলনের নিয়ম যথাযথভাবে মেনে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলন করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, আমি খুব গর্বিত এজন্য যে, দেশের বাইরে যে মিশনে প্রথম পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল সেই মিশনেই আমি পতাকা উত্তোলন করলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
ভিএস/এমজেএফ