বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দিনগত রাত ১২টার পর পঞ্চায়েত নির্বাচনের রায় প্রসঙ্গে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচন ঘিরে তার দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে কুৎসা ও অপপ্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে কুৎসা ও অপপ্রচার করা হয়েছে বা টাকা ছড়ানো হয়েছে, তা ভাবা যায় না।
‘ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে লোক ঢোকানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে না জানিয়ে বিএসএফ নামানো হয়েছে। আমাকেও অসম্মান করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তা আমি আশা করিনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিরুদ্ধে বলেছেন। তবে আমি কিছু বলিনি। ক্রস চেক না করেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। তিনি হয়তো জানেন না, বিজেপি আমাদের দলেরই ১০ জনকে খুন করেছে’।
নির্বাচনে এই জয়কে মানুষের প্রতি উৎসর্গ করে মমতা বলেন, মানুষই আমাদের জিতিয়েছেন। ৫০ থেকে ৬০টি বুথে গোলমাল হয়েছে বলে টিভিতে দেখানো হয়েছে। তার মানে এই নয়, গোটা রাজ্যে গোলমাল হচ্ছে। কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমি চাই না এমন কোনো ঘটনা ঘটুক। ১৩ জন মারা গিয়েছেন, এদেরমধ্যে ১০ জনই আমাদের পার্টির নেতাকর্মী। এবারের ভোটে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের পরিবারকে আমরা দেখব। অন্য দলের যারা মারা গিয়েছেন, তাদেরও দেখব।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চায়েত ভোট যার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার (১৭ মে)। কিন্তু সম্পূর্ণ ফলাফল এখনও প্রকাশ পায়নি। তৃণমূলের প্রধান ইস্যু ছিল উন্নয়ন। আর বিরোধীদের ইস্যু ছিল তৃণমূলের সন্ত্রাস।
রাজ্যের মোট ২০টি জেলার ৪৬ হাজার ৭০৬টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়। এছাড়া একইসঙ্গে জেলা পরিষদের ৬২১টি, পঞ্চায়েত সমিতির ছয় হাজার ১১৯টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১ হাজর ৭৮৯টি আসনে ভোট হয়। এর মধ্যে জেলা পরিষদে প্রার্থী ছিলেন দুই হাজার ৮৭২ জন, পঞ্চায়েত সমিতিতে ২০ হাজার ৫৩৫ জন এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯২ হাজার ২০৪ জন।
অবশেষে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সম্পূর্ণ গণনা শেষ না হলেও ফলাফলে এগিয়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরে পৌঁছে যায় তৃণমূল। এখনপর্যন্ত পাওয়া খবরে গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল আসন পেয়েছে ১৬ হাজার ১শ ৬৬টি।
রাজ্যে গতবার শূন্য আসন থাকলেও এবার বিজেপি আসন পেয়েছে ৪০২০টি। কংগ্রেস, সিপিএম ও নির্দল আসন পায় যথাক্রমে ৬৬৪, ১০৪২ ও ১২৮৪টি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
ভিএস/এনএইচটি