শহর ছাড়াও গ্রামের মানুষদের কাছে ওই এসএমএস বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে। এর জন্য রাজ্যের প্রশাসন ভবন নবান্ন থেকে জেলায় জেলায় মোবাইল নম্বরের ডাটাবেজ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যা, ঝড়বৃষ্টি প্রভৃতির ফলে প্রতি বছর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সম্পত্তি ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানিও ঘটে। এক্ষেত্রে আগাম পূর্বাভাস থাকলে মানুষ কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করতে পারে। তার ফলে প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হবে। বর্তমানে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বিষয়টি দেখভাল করে। বিপর্যয়ের পর সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
ঝড়বৃষ্টির ক্ষেত্রে আবহাওয়া দফতর আগাম সতর্কতা জারি করে। সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ ওই পূর্বাভাস পেয়ে থাকেন। কিন্তু, শুধুমাত্র বজ্রাঘাত সম্পর্কে আগাম আভাস এতোদিন পাওয়া যেত না। বর্তমানে আবহাওয়ার তারতম্যের জন্য লক্ষ্য করা গেছে, অল্পবৃষ্টিতেও অস্বাভাবিক হারে বজ্রপাত হচ্ছে। এর আগে অঞ্চলভিত্তিক এক ঘণ্টা আগে আগাম অতি বজ্রপাত বোঝা যায় এমন উন্নত সেন্সর মেশিন রাজ্যের আবহাওয়া অফিসে ছিলো না। বর্তমানে তা বসানো হয়েছে কলকাতার আবহাওয়া দফতরে। তার জেরে জেলাভিত্তিক রাজ্যের মানুষকে নিম্নচাপ ও বজ্রপাত সতর্কতা এসএমএসের মাধ্যমে আগাম জানাবে রাজ্য। আর সে কারণেই জেলাভিত্তিক মোবাইল ফোনের ডাটা তৈরি করা হচ্ছে।
এ রাজ্যে মার্চ-এপ্রিল থেকে কালবৈশাখী শুরু হয়। ওইসময় বিকেলের দিকে এলাকাভিত্তিক বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়। ফলে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে দ্রুত আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় মানুষ সাবধানতা অবলম্বনের সুযোগ পায় না। ফলে রাস্তাঘাটে বের হয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, জুন-জুলাইয়ে বর্ষার মৌসুমেও বজ্রপাতে অনেকে মারা যান। চলতি বছর বাঁকুড়ায় এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বজ্রপাতে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা বজ্রপাতপ্রবণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত। ফলে প্রতি বছর ওই দুই জেলায় বজ্রপাতে বহু মানুষ মারা যান।
এই অবস্থায় বজ্রপাতে মৃত্যুতে লাগাম টানতে রাজ্য সরকার ‘এসএমএস অ্যালার্ট’ ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৮
ভিএস/আরবি/