মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সততার সঙ্গে কলকাতাবাসীর জন্য যথাযথ দায়িত্ব পালন করবো। ’
তিনি আরও বলেন, আমরা দিদির (মমতা) সৈনিক।
এদিন স্থানীয় সময় বেলা ১টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে ঘণ্টা দেড়েকের মতো। গোপন ব্যালটে নেওয়া হয় ভোট। মেয়র পদের জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে লড়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। ১২১ ভোট পেয়ে জয়ী হোন ফিরহাদ হাকিম।
তবে এ নির্বাচনের আগেই ফলাফল নিয়ে কোনো মহলেরই সংশয় ছিল না। কারণ কলকাতা পৌরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচন করেন। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বর্তমানে এখন ১৪৩টিতে কাউন্সিলর রয়েছেন। ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দু’বছর আগে মারা যাওয়ার পর এখনও সেখানে কোনো পুর প্রতিনিধি নির্বাচিত হননি। তবে এ ১৪৩ জনের মধ্যে তৃণমূলেরই প্রতিনিধি রয়েছেন ১২২ জন। সিপিএমসহ বামদলগুলির সম্মিলিত কাউন্সিলর সংখ্যা ১৪। বিজেপির কাউন্সিলর রয়েছেন মাত্র পাঁচজন। আর কংগ্রেসের রয়েছেন দু’জন কাউন্সিলর।
তাই এ নির্বাচনে ফিরহাদ হাকিমের জয় নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না। তবুও নগরবাসীসহ রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল এ নির্বাচনের দিকে।
এর আগে কলকাতার মেয়র পদে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮
ভিএস/এপি